নিজের ‘বাতকর্মের’ গ্যাস বিক্রি করে কোটিপতি হলেন তরুণী!


বোতলে নিজের বাতকর্মের গ্যাস ভরে চড়া দামে বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছেন এক তরুণী। তিনি পেশায় একজন ইউটিউবার ও রিয়েলিটি স্টার! খবর নিউজ এইটিনের।


পৃথিবী বড়ই বৈচিত্র্যময়। নানা ভাষা, নানা মত, নানা মতের মতো নানান পেশার মানুষও রয়েছেন এই পৃথিবীর বুকে। যা কিছু সাধারণ তা নিয়ে আমরা ভাবি না, কিন্তু অদ্ভুত কোনো কিছু হলেই তা নিয়ে খবর হয়, শিরোনাম কাড়ে। সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে এখন এই ভার্চুয়াল জগতে!


খবরে বলা হয়, ৩১ বছরের স্টেফানি মাট্টো পেশায় একজন ইউটিউবার ও রিয়েলিটি স্টার! তিনি নিজের বাতকর্মের গ্যাস বোতলে ভরে বিক্রি করে ২ লাখ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ২০২১ সালে নিজের এই আজব ব্যবসা শুরু করেন স্টেফানি। UNFILTRD নামে প্রাপ্তবয়স্কদের এক ওয়েবসাইটে স্টেফানির বাতকর্মের গ্যাসের চাহিদা তুঙ্গে! এক বোতল বাতকর্মের গ্যাস বিক্রি হয় ৭৪ হাজার টাকায়। তবে উৎসবের মৌসুমে বোতলের দামে কিছুটা ছাড়ও দিয়েছিলেন স্টেফানি।


যতো চাহিদা বাড়লো, ততো বাড়লো স্টিফানির বাতকর্ম! এক সপ্তাহে তাকে প্রায় ৫০ বোতল বাতকর্মের গ্যাস তৈরি করতে হতো! এবং চমক এখানেই শেষ নয়, বাতকর্মের গ্যাসের গন্ধ যতো বাজে হবে, ততো তার চাহিদা বেশি, বিক্রি হতে নাকি ২ মিনিটও লাগে না! সঙ্গে পেয়ে যান আগাম বুকিংও!


খবরে আরও বলা হয়, দুর্গন্ধযুক্ত বাতকর্ম করতে স্টিফানি প্রতিদিনের ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রাখেন। প্রতি বেলায় খান মাছ-মাংস-ডিম এবং এক বড় বাটি ব্ল্যাক বিন স্যুপ! অল্প সময়ের মধ্যে এতো ঘনঘন বাতকর্ম করার ফলে স্টেফানির শরীর বেশ খারাপ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি হতে হয়। যতদিন না সুস্থ হচ্ছেন স্টেফানি ততদিন বাতকর্ম বিক্রি থেকে বিরতি নিয়েছেন।




স্টেফানি বলেন, ‘প্রথম দিকে বাতকর্মের জন্য প্রোটিন মাফিন, ডিম, প্রোটিন শেক, পেঁয়াজ, হ্যাম, ব্ল্যাক বিন স্যালাড খেতাম। পরবর্তীতে পরিমাণ বাড়াই। দেখেছি কলার প্রোটিন শেক-এ বাতকর্মের গন্ধ খুব খারাপ হয়, আর তাই চাহিদাও খুব বেশি! দুর্গন্ধযুক্ত বাতকর্মের গ্যাসের ঘ্রাণ নিয়ে বহু মানুষ সুপ্ত কামতৃপ্তি পান!’
 

Post a Comment

Previous Post Next Post