সৌদিতে নির্যাতিত নারীকে দেশে ফিরিয়ে আনলো র‌্যাব

 


সৌদি আরবে পাচার হওয়া নির্যাতনের শিকার মোছা. নাজমা বেগমকে (৩৮) দেশে ফিরেয়ে এনেছে র‌্যাব-৪। র‌্যাব জানায়, নাজমাসহ আরও কয়েকজন বাংলাদেশি নারীকে সেই দেশে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করা হয়।


বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে র‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।


তিনি বলেন, গত ৩০ অক্টোবর তেজগাঁও থানা এলাকার আয়াত ওভারসিসের অফিসে অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনই নাজমাকে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।


নাজমা আক্তার সৌদি আরবে থাকতে তার সঙ্গে কী ধরনের পৈশাচিক নির্যাতন হয়েছিল তা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যমকে জানান।


সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সৌদি আরবে অবস্থিত দাম্মাম শহরের একটি এজেন্টের অফিসে এখনও তিনজন নারী মোছা. নাজমা বেগম, দীপ্তি আক্তার ও মোছা. রোকসানা আক্তার ওই দেশের দালালদের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে প্রতিনিয়ত নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। তারা শারীরিকভাবে অসুস্থ ও তাদের পক্ষে সাধারণভাবে চলাফেরা করা অসম্ভব।


র‌্যাব-৪ এ তথ্য পাওয়ার পর পাচার হওয়া তিন নারীকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। এরপর আল-আরাফা ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করে ১৭ নভেম্বর বিকেলে একটি ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে ওই নারীকে দেশে আনা হয়।


নাজমা জানান, গত দেড় মাস ধরে সৌদি আরবের একটি অফিসে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে একটি আরব পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ওই পরিবার তাকে বিভিন্ন সময় মারধর করা ছাড়াও বৈদ্যুতিক শকসহ নানাভাবে নির্যাতন করতো।


সৌদি আরবে অবস্থানরত অন্য দুই নারীকে দেশে ফেরত আনার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

Post a Comment

Previous Post Next Post