পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ইউনিয়ন ব্যাংক বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই ঋণ বিতরণ করে সংকটে পড়েছে। আদায় না হওয়ায় ঋণের সিংহভাগই এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ঋণের সিংহভাগ খেলাপি হওয়ায় ব্যাংকটিতে সমস্যা আছে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণে সমাধান বের করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ২০২২- ২৩ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শরীয়াহভিত্তিক নতুন ব্যাংকটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যাদি ‘মনিটরিংয়ের’ মধ্যে রয়েছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, সমস্যা হয়েছে, যেখানে যে সমস্যা হবে, আমরা দেখব, আমরাই সমাধান বের করবো, আমরাই উদ্ধার করবো।
২০১৩ সালে ব্যাংকিং কার্যক্রমে আসা ব্যাংকটিতে কিভাবে এই সংকট তৈরি হলো- জানতে চাইলে বিদায়ী গভর্নর বলেন, ইউনিয়ন ব্যাংকে সমস্যা একটা হয়েছে। আজ একটা পত্রিকায় খবর এসেছে। এটি আমাদের নিয়মিত তদারকির মধ্যে আছে। আর ব্যাংক তো সব এক রকম নয়। ভালো, খারাপ, মন্দ-সব ধরনের ব্যাংক আছে। আবার রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক একরকম, ব্যক্তি খাতের ব্যাংক অন্য রকম, বিদেশি ব্যাংক আরেক রকম, শরিয়াহ ব্যাংক আরেক রকম। এসব আমাদের ক্যামেলস রেটিংসে আসবে।
ইউনিয়ন ব্যাংকের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সাল শেষে বিতরণ করা ঋণের স্থিতি ১৮ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, যা পরে আরও বেড়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকাই ‘খেলাপি যোগ্য’ বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে বেরিয়ে এসেছে, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৯৫ শতাংশ বলে খবরে এসেছে। এসব ঋণ সমন্বয় করতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সময়ও বেঁধে দিয়েছে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমন্বয় করতে না পারলে এসব ঋণ খেলাপি করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত বৃহস্পতিবার দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি হয়েছে ১০ টাকা ৩০ পয়সায়।