ডিভিডেন্ড বেড়েছে প্রকৌশল খাতের ১২ কোম্পানির

 


শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে ১২ কোম্পানির ডিভিডেন্ড বেড়েছে। কমেছে ১৪টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির। তিনটি কোম্পানি এখনও আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।


ডিভিডেন্ড বৃদ্ধি পাওয়া ১২ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বাংলাদেশ অটো কারস, বাংলাদেশ ল্যাম্প, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, গোল্ডেন সন, জিপিএইচ ইস্পাত, কে অ্যান্ড কিউ, মীর আক্তার, অলিম্পিক এক্সেসরিজ একং ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।


আনোয়ার গ্যালভানাইজিং :কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০০ শতাংশ ডিভিডেন্ড বেশি দিয়েছে।


৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৯২ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ১ টাকা ৯৩ পয়সা।


সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৮৮ টাকা ১০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৮.৯১ ।


বাংলাদেশ অটোকারস:কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড বেশি দিয়েছে।


৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৭ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ৩৪ পয়সা।


সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫১ টাকা ৭০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৩২.৪১ ।


বাংলাদেশ ল্যাম্পস:কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৫০ শতাংশ ডিভিডেন্ড বেশি দিয়েছে।


৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিলো ৯ টাকা ৮৮ পয়সা।


সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩৪ টাকা ৪০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ২৮০ ।


বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস্‌:কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৩৩৩ শতাংশ ডিভিডেন্ড বেশি দিয়েছে।


৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৮ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ৩ টাকা ৯০ পয়সা।


সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০২ টাকায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৫.৯৪ ।


বিএসআরএম স্টিল:কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২৬৬ শতাংশ ডিভিডেন্ড বেশি দিয়েছে।


৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ১ টাকা ৯৭ পয়সা।


সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৩ টাকায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬.৩১ ।


কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ:কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০০ শতাংশ ডিভিডেন্ড বেশি দিয়েছে।


৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ০২ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ৩৫ পয়সা।


সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৯ টাকা ৪০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৩১.৭৭ ।


গোল্ডেন সন:কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২.৭৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড বেশি দিয়েছে।


৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩০ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিলো ১ টাকা ০৫ পয়সা।


সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০ টাকা ৭০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ২৮.৭৫ ।


জিপিএইচ ইস্পাত:কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২০০ শতাংশ ডিভিডেন্ড বেশি দিয়েছে।


৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ৭৯ পয়সা।


সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৬ টাকা ৪০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ১২.৪৮ ।


কেএন্ডকিউ (বাংলাদেশ):কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো। অর্থাৎ এক বছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড বেড়েছে ২০ শতাংশ।


৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯২ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ৪৪ পয়সা।


সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭১ টাকা ৭০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৫৬৬.০৪।


মীর আক্তার হোসেন:কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। তালিকাভুক্তির পর এবারই কোম্পানিটি প্রথম ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।


৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ২১ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ১ টাকা ৮৬ পয়সা।


সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৮ টাকা ১০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৩০.৪০ ।


অলিম্পিক এক্সেসরিজ:কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য নো ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০০ শতাংশ ডিভিডেন্ড বেশি দিয়েছে।


৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৩ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিলো ৫২ পয়সা।


সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে নেগেটিভ ।


ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ:কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো। অর্থাৎ কোম্পানিটি এবার ২৫ শতাংশ বেশি ডিভিডেন্ড দিয়েছে।


৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৪ টাকা ২১ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ২৪ টাকা ২১ পয়সা।


সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৪৯ টাকায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৩০.৯৫ ।


০৯ জানুয়ারি ২০২২

Post a Comment

Previous Post Next Post