এক, দুই নয়, টানা ৪০ বছর ধরে প্রেম করেছেন এই নারী। এর পর সেই প্রেমের পূর্ণতা দিতে ধুমধাম করে বিয়েটাও সেরে ফেলেছেন তিনি। বিয়েতে আয়োজনেরও ছিল না কোনো কমতি। উপস্থিত ছিলেন অতিথিরাও। এ পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও গোল বাঁধে পাত্রকে দেখে। কারণ পাত্র কোনো মানুষ নয়, রঙ। তাও যে সে রঙ নয়, গোলাপি রঙ।
কথায় আছে ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন। তাই অদ্ভূত শোনালেও বাস্তবে সেটাই ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের বাসিন্দা ‘কিটেনকায়সারা’ বিয়ে করেছেন তার প্রিয় রঙ গোলাপীকে। লাস ভেগাসে জাঁকালো আয়োজনে সম্পন্ন হয়েছে ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই বিয়ের অনুষ্ঠান।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই বিয়ের অনুষ্ঠানস্থল থেকে শুরু করে পোশাক কিংবা আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র সব গোলাপী রঙেরই হবে। জানুয়ারির ১ তারিখে গোলাপী পোশাক পরা একদল মানুষের সামনে গোলাপী রঙের কাডিলাকে বসে বিয়েটা সেরে ফেলেন সেরা।
টানা ৪০ বছর ধরে গোলাপী শেডের বিভিন্ন পোশাকই তিনি পরে আসছেন। ৪০ বছরের সম্পর্কের পর তিনি গোলাপী রঙকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। অবশ্য এই বিয়ের সিদ্ধান্ত হুট করে আসেনি। দুই বছর আগে এক শিশু গোলাপী রঙ পরার জন্য তাকে ঠাট্টা করেন। এর পরই বিয়ে রঙের সঙ্গেই প্রণয়ে বাঁধা পড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
বিয়ের বিশেষ দিনটিতে কিটেনকায়সারা গোলাপী গাউন, গোলাপী ফারের কোট ও গোলাপী টায়রা পরেছিলেন। সেরা তার চুলেও গোলাপী রঙ করেছিলেন। তার লিপস্টিক থেকে শুরু করে গহনা, সবই ছিল গোলাপী রঙের। এমনকি যেসব অতিথিরা বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন, তাদেরও গোলাপী রঙ পরে আসার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। এমনকি বিয়েতে তিনি যে বিশাল কেকটি কেটেছেন সেটিও ছিল গোলাপী রঙের।
৫৭ বছর বয়সী কিটেন পেশায় অভিনেত্রী। হলিউডের বিভিন্ন সিরিজ, টিভি শোতে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামের বায়োতে নিজের ভোগ ম্যাগাজিনের কভার গার্ল বলে দাবি করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে অবশ্য সেরা দারুণ জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রামে তার দুই লক্ষাধিক ফলোয়ার আছে। নিজের ভ্যারিফাইড ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে বিয়ের একগুচ্ছ ছবিও পোস্ট করেছেন।
কোনো রঙকে বিয়ের ধারণা পাগলের প্রলাপ শোনালেও কিটেনকায়সারা অবশ্য সবাইকে উৎসাহ দিয়েছেন নিজের ইচ্ছাকে মূল্য দিতে।