মা-মেয়ের পর এবার ভেসে উঠল ছেলেসহ ২ জনের লাশ

 


ফতুল্লার ধর্মগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় একই পরিবারের চারজনের মধ্যে জেসমিন আক্তারের ছেলেসহ দুজেনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।

সোমবার সকালে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ নদীতে ভেসে ওঠা লাশের মধ্যে রয়েছে জেসমিনের ছেলে তামিম (৫); অন্যজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

এর আগে রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধলেশ্বরী নদী থেকে মা ও মেয়েসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চের ধাক্কায় খেয়া পারাপারের সময় ধলেশ্বরী নদীতে এ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।

রোববার ভেসে ওঠা লাশের মধ্যে রয়েছে— ফতুল্লার চরমধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫) ও তার বড় মেয়ে তাসমিন আক্তার (২০), ফতুল্লার চরবক্তাবলীর রাজু সরদারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাব্বির আহমেদ (১৮), বক্তাবলীর হাজিপাড়ার আব্দুল জলিলের মেয়ে জ্যোৎস্না বেগম (৩৩), ফতুল্লার উত্তর গোপাল নগরের রেকমত আলীর ছেলে আব্দুল মোতালেব (৪২), চরবক্তাবলীর মৃত আক্কাস আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন (৩০)।

বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, রোববার একই পরিবারের চারজনের মধ্যে মা-মেয়ে দুজনের লাশ পাওয়া গেছে। আজ শিশুপুত্র তামিমের (৫) লাশ উদ্ধার করা হলো। তবে শিশু তাসফিয়াসহ (২) এখনও দুজন নিখোঁজ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টায় ফতুল্লার ধর্মগঞ্জঘাটের কাছে ধলেশ্বরী নদীতে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীবোঝাই খেয়া পারাপারের ট্রলার ডুবে যায়। এ সময় অনেকেই সাঁতরে তীরে উঠলেও ১০ জন নিখোঁজ হন। এ ঘটনার ৫ দিনের মাথায় ৬ জনের লাশ ভেসে উঠল। এ ঘটনায় লঞ্চের চালক, মাস্টার ও সুকানিসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post