চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, সব খাতেই আমাদের প্রবৃদ্ধি ভালো হচ্ছে। রফতানি বাড়ছে, আমদানিও বাড়ছে। অর্থনীতি গতিশীল হচ্ছে। কাজেই অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে আশা করা যাচ্ছে অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধিও কাক্সিক্ষত হারেই হবে।
আজ সোমবার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবৃদ্ধি অর্জনে আমরা প্রতিটি খাতে যথাযথভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের রফতানি বেড়েছে, আমরা যে পরিমাণ আশা করেছিলাম, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে। নভেম্বরে আমাদের ৩১ শতাংশ রফতানি বেড়েছে। গত ৫ মাসে (জুলাই থেকে নভেম্বর) আমাদের রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
তিনি বলেন, আমাদের আমদানি-রফতানি ভালো। যেভাবে এগোচ্ছে, আমরা বিশ্বাস করি, এ বছর আমাদের ৪৭ থেকে ৪৮ বিলিয়ন ডলার রফতানি হবে। এর মাধ্যমে নতুন একটি মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছি আমরা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সব খাতেই আমাদের প্রবৃদ্ধি ভালো হচ্ছে। রফতানি বাড়ছে, আমদানিও বাড়ছে। অর্থনীতি গতিশীল হচ্ছে। কাজেই যেভাবে অর্থনীতি এগোচ্ছে, তাতে আশা করা যাচ্ছে অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
এসময় রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, রেমিটেন্স কিছুটা কম হয়েছে। তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ দেখছি না। সামনে দুটি ঈদ আছে। তখন আরও বেশি রেমিট্যান্স আসবে। রেমিট্যান্স আসার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে আমাদের অনেক অর্জন হয়েছে। এ অর্জন একইভাবে হয়েছে তা নয়। আপনারা জানেন, আমাদের প্রথম ১০০ বিলিয়ন ডলার জিডিপি অর্জন করতে লেগেছিলে ৩৮ বছর। ৫০ বছরের মধ্যে ৩৮ বছর বাদ দিলে থাকে ১২ বছর। অধিকাংশ অর্জনই হয়েছে এই ১২ বছরে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আমাদের সব অর্জন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তার নেতৃত্বে এবং সুচিন্তিত মতামতে আমাদের অর্থনীতি যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আগামীতে আমরা আরও ভালো কিছু অর্জন করতে পারবো। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছানো। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বিশ্বের কাতারে আমরা নিজেদের শামিল করবো।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রোড শো করা হচ্ছে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য। এর সঙ্গে পুঁজিবাজারের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি মনে করি, পুঁজিবাজার সঠিক স্থানেই আছে।