২০০ ফুট উঁচু টিলাকেই ছিনেমায়(মাসুদ রানা) দেখানো হয় পাহাড় হিসেবেঃ পূজা চেরি


অধিক আলোচিত 'মাসুদ রানা' সিনেমার শুটিং এর অভিজ্ঞতা জানান পূজা চেরি। চট্টগ্রামে শুটিং চলে ৮ দিন। পূজা চেরি জানান ২০০ ফুট উঁচু টিলার উপর হয়েছে শুটিং। সেই টিলাকেই সিনেমায় দেখানো হবে পাহাড় হিসেবে। 


দড়ি বেয়ে পাহাড়ে উঠতে এবং নামতে হয়েছে পূজকে। তাছাড়াও পাহাড়ের উপর করতে হয়ছে একটা ফাইটের দৃশ্য। পূজা চেরি জানান এসব দৃশ্য গুলো সবি ছিলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেসব দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে বুক, পিঠ ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন পূজা। আর এর সবই তাঁর জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।

মাসুদ রানা সিনেমার গল্পের সাথে তালাতেই বেছেনেয়া হয় চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা। সিনেমায় পূজাকে দেখা যাবে সোহানা চরিত্রে।  পূজাকে পর্দায় দেখা যাবে ঝুঁকিপূর্ণ সব দৃশ্যে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেসব দৃশ্যে কেন অংশ নিলেন তিনি? জানালেন, এর আগে মারপিট ও ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্য এড়িয়ে যেতেন। এবার পরিচালককে আগেই বলে রেখেছিলেন, যত ঝুঁকিই থাকুক, সব কটি দৃশ্যে নিজেই অভিনয় করবেন। পাহাড়ে চেজিংয়ের দৃশ্যে কিংবা ওপর থেকে নামতে রীতিমতো শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল পূজার। ছবিটিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে পূজা বলেন, ‘ছবিতে এটা আমার নতুন অভিজ্ঞতা। থ্রিলার গল্প আমার ছোটবেলা থেকেই ভালো লাগে। গল্প পড়ে শিউরে উঠতাম। কল্পনায় ভয়ানক সব জায়গা ভ্রমণ করতাম। পাহাড় থেকে পাহাড়ে ছুটে বেড়াত গল্পের চরিত্রগুলো। উপন্যাস পড়ে আমি কল্পনা করতাম, ইশ্‌ যদি এমন চরিত্রে অভিনয় করতে পারতাম। এবার যেহেতু সত্যিই “মাসুদ রানা”য় কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, সে জন্য অভিজ্ঞতার লাভের সুযোগটা হারাতে চাইনি। আমি জানতাম, একটু উনিশ–বিশ হলে স্পটডেথ। তবু জীবনের ঝুঁকি নিয়েছি।’


যখন সোহানা চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পাই, খুশিতে সেদিন লাফিয়ে উঠেছিলাম। মাসুদ রানা উপন্যাসের সঙ্গে আগেই পরিচিত পূজা। এর পর থেকেই নিজেকে সোহানা চরিত্রের জন্য প্রস্তুত করছিলেন এই অভিনেত্রী। সোহানা কীভাবে কথা বলে, কীভাবে তাকায়, কীভাবে হাঁটে, মারপিট করে—এসব আরও নিখুঁতভাবে পড়তে চেষ্টা করেছেন। পূজা বলেন, ‘ছবিটি দেখে দর্শক বলবেন পূজাই সোহানা। এখনো প্রতিনিয়ত সোহানা হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। “মাসুদ রানা” বাজে হয়েছে, “মাসুদ রানা” গল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে, এগুলো বলার কোনো সুযোগই পাবেন না দর্শক। “সুলতান সুলেমান”–এর মতোই জনপ্রিয়তা পাবে “মাসুদ রানা”।’


ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম অংশের শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফিরেছেন পূজা। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন ঝুঁকিপূর্ণ সব অভিজ্ঞতা।

Post a Comment

Previous Post Next Post