হ্যা, আপনি ঠিকই শুনেছেন।তবে পুরোটা পড়ুন এতে হয়তো আশার বানী শুনতে পারেন। ইউটিউবের নতুন আপডেট অনুযায়ী, যারা আমেরিকার বাহিরের দেশে থাকেন তাদের উপরে ইউটিউবের এই নতুন নিয়ম। ধরুন, আপনি এ মাসে টোটাল ১০০০ ডলার ইনকাম করেছেন। এর মধ্যে আমেরিকার ভিউয়ার্সদের থেকে ১০০ ডলার ইনকাম করেছেন, তাহলে আপনাকে ১০০ ডলারের হিসেবে ৩০ ডলার দিতে হবে ইউটিউবকে। তবে এক্ষেত্রে একটা শর্ত আছে, আপনি যদি ইউটিউবকে আপনার দেশে দেওয়া ট্যাক্স ইনফরমেশন সরবরাহ করেন তবেই আপনার ঐ ১০০ ডলারের মধ্যে মাত্র ৩০ ডলার কাটা হবে।
তবে ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে ট্যাক্স ইনফরমেশন সরবরাহ করলে তাদের ১০০ ডলারের হিসেবে ইউটিউব থেকে কাটবে মাত্র ১৫ ডলার। ইন্ডিয়ার সাথে আমেরিকার যে ট্যাক্স রিলেশনশিপ থাকে সে হিসেবে এ ট্যাক্স কাটা হবে। শুধু ইন্ডিয়াই না, আমেরিকার সাথে অন্যান্য দেশের যদি ট্যাক্স রিলেশনশিপ বা সম্পর্ক থাকে তাদের ক্ষেত্রেও সে হারে ট্যাক্স কাটা হবে। আবার আপনি যদি, ইউটিউবকে ট্যাক্স ইনফরমেশন না দেন তবে আপনার পুরো ১০০০ ডলার ইনকামের ২৪% হিসেবে ২৫০ ডলার দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ইউটিউব আমেরিকার ভিউয়ার্সদের থেকে কত টাকা ইনকাম করেছেন সেটা আলাদা না করে পুরো ২৪% ই কাটাবে। এদিকে অনেকের চ্যানেলে এমন হয় যে, শুধু ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশের অডিয়েন্স/ ভিউয়ার্স আছে তারা যদি ট্যাক্স ইনফরমেশন ইউটিউবকে জমা দেয় তবে সে হিসেবে তাদের ইউটিউবকে কোনো টাকা দিতে হবে না।
সো, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইউটিউবকে আপনার ট্যাক্স ইনফরমেশন সরবরাহ করতে হবে। অর্থাৎ, আল্টিমেটলি বাংলাদেশের সকল ইউটিউবারকেই এখন থেকে সরকারকে ট্যাক্স বা কর দিতে হবে৷
কারণ সরকারকে ট্যাক্স না দিলে আপনি ট্যাক্স ইনফরমেশনও পাবেন না আর ইউটিউবকেও ট্যাক্স ইনফরমেশন জমাও দিতে পারবেন না। এখন, অনেকেই আছেন যারা নিজের দেশে ট্যাক্স দেন না, তাদেরকেও এখন থেকে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হবে। এবং সেই ট্যাক্স ইনফরমেশন ৩১ মে এর মধ্যে ইউটিউবকে জমা দিতে হবে। আরেকটা কথা, আপনারা হয়তো তাহলে ভাবছেন, আমেরিকার ইউটিউব ক্রিয়েটর হওয়া তাহলে কত ভালো, তাদেরকে কোনো ট্যাক্স দিতে হচ্ছে না।
না, বিষয়টা এমন নয়, ইতোমধ্যেই তারা ইউটিউবকে ট্যাক্স ইনফরমেশন সরবরাহ করেছে। পুনশ্চ : কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইউটিউব আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে একটি ট্যাক্স ফরম পাঠাবে, যেখানে অনলাইনেই আপনাকে ট্যাক্স ইনফরমেশন দিতে হবে ইউটিউবকে। এখন কথা হচ্ছে ইউটিউব কেন এই নতুন নিয়ম আনলো? ইউটিউব কি ইচ্ছে করেই এ নিয়ম করেছে? -না, ইউটিউব ইচ্ছে করেই এ নতুন নিয়ম আনেনি। আমেরিকার রাজস্ব আয় বা ট্যাক্স নিয়ম 'চ্যাপটার ৩' অনুসারে কেউ যদি আমেরিকার ভিউয়ার্সদের থেকে রেভিনিউ জেনারেট করে তাহলে তাকে অবশ্যই আমেরিকাকে ট্যাক্স দিতে হবে।
যেকারণে বলা যায়, গুগল এক প্রকার বাধ্য হয়েই এই নতুন নিয়ম
এনেছে। তাহলে বিষয়টা দাড়াচ্ছে এমন, গুগল আমাদের থেকে ট্যাক্স নিয়ে আমেরিকা সরকারকে
ট্যাক্স দিবে।