‘বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রে'ম করো না, আমি ভুক্তভোগী’

‘বাধাই হো’ ছবির সুবাদে বলিউডে নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন নী
না গুপ্তা। বলা যায় নতুন করে তারকাখ্যাতি খুঁজে পেয়েছেন এই বর্ষীয়ান অ'ভিনেত্রী। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাননি ৬১ বছর বয়সী এই অ'ভিনেত্রী। নীনা গুপ্তার ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই থেকেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কারণ আশির দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে চুটিয়ে প্রে'ম করেছেন তিনি।

শুধু তাই নয়, ভিভ রিচার্ডসের সন্তানের (মাসাবা গুপ্তা) মা হওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলে নীনা। যদিও কোনওদিন নিজের স্ত্রী' মা'রিয়মের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে নীনাকে বিয়ে করেননি ভিভ রিচার্ডস।

জীবনই মানুষের সবচেয়ে বড় শিক্ষাগুরু। সেই জীবন থেকে শিক্ষা নিয়েই সবসময়ই নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মন খুলে কথা বলেন অ'ভিনেত্রী। তার জীবন অনেকখানি খোলা বই। বিয়ে না করেই মা হওয়ার দরুণ সমাজের থেকে নিন্দা কুড়িয়েছেন, বলিউডও একটা সময় তাকে একঘরে করেছিল। তবে সেই সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে জীবনকে নিজের মতো করে বাঁচবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীনা গুপ্তা। তবে গত বছর মা'র্চে অনুরাগীদের উদ্দেশে একটা বড় উপদেশ দিয়েছেন অ'ভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে স'ম্পর্কে জড়িয়ো না’।

তিনি জানান, এই কাজ করে তিনি নিজে অনেক মুশকিলের মুখোমুখি হয়েছেন। মে'য়ে মসাবাকে একাই বড় করেছেন অ'ভিনেত্রী। এখন মাসাবা বলিউডের অন্যতম সফল ফ্যাশন ডিজাইনার। সহ'জ ছিল না নীনা গুপ্তার এই মাতৃত্বের সফর। সমাজ, পরিবারের অনেকের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে।

ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করা ২ মিনিট ৪ সেকেন্ড দীর্ঘ একটি ভিডিও বার্তায়, নীনা গুপ্তা বলেছিলেন, বিবাহিত পুরুষের প্রে'ম পড়ার পর প্রথম দিকে সব ঠিকঠাক থাকলেও কেমনভাবে সেই স'ম্পর্ক ভেঙে যায় যখন সেই পুরুষটি তাঁর স্ত্রী'কে ডিভোর্স দিতে রাজি হন না।

তিনি বলেন, সে বলবে তাঁর স্ত্রী'কে সে পছন্দ করে না। অনেকদিন ধরে তাঁদের একসঙ্গে পথ চলতে সমস্যা হচ্ছে। এরপর তুমি তাঁর প্রে'মে পড়বে..সে কিন্তু বিবাহিত পুরুষ। তারপর তুমি বলবে..তোম'রা আলাদ হচ্ছো না কেন? সে বলবে, আমাদের সন্তান রয়েছে, তাই আমি ডিভোর্স চাই না, দেখা যাক কী' হয়! এরপর তোম'রা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করা শুরু করবে। সে (স্ত্রী'কে) মিথ্যা বলে তোমা'র সঙ্গে ছুটি কা'টাতে যাবে। ধীরে ধীরে বিষয়টা জটিল হয়ে যাবে।

এরপর তুমি তাঁর সঙ্গে রাত কা'টাতে চাইবে, তোম'রা হোটেলে যাবে তারপর তোম'রা আরও রাত একসঙ্গে কা'টাতে চাইবে এবং শেষমেষ তুমি বিয়ে করতে চাইবে। কিন্তু সে তাঁর স্ত্রী'কে ডিভোর্স দিতে রাজি হবে না। সে বলবে অ'পেক্ষা কর,বিষয়টা সহ'জ নয়, সম্পত্তি রয়েছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টস রয়েছে। তারপর তুমি মেজাজ হারাবে,অবসাদে ভুগবে, বুঝতে পারবে না কী' করবে? শেষমেষ তুমি তাঁর থেকে দূরে সরে আসতে চাইবে কারণ তোমা'র জীবনে অ'ত সমস্যা তুমি সমালাতে পারবে না। তারপর কী' করবে? সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

Post a Comment

Previous Post Next Post