
করো'নাভাই'রাস সংক্রমণ হঠাৎ বাড়লেও ৩০ মা'র্চই খুলছে সাধারণ, মাদ্রাসা, কারিগরি পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ'মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।এ জন্য গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রোববার (১৪ মা'র্চ) রাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দিয়েছে
শিক্ষা মন্ত্রণালয়।নির্দেশনাগুলো হলো- স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের করো'নাভাই'রাসের টিকা দেয়ার বিষয়টি আগামী ৩০ মা'র্চের আগেই সম্পন্ন করতে হবে। কোনাে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংস্কার অথবা মেরামতের প্রয়োজন হলে তাও ৩০ মা'র্চের আগে সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, প্রযােজ্য ক্ষেত্রে গণপূর্ত অধিদফদতরকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংস্কার অথবা মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে।
মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের কর্মক'র্তারা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার বিষয়টি মনিটরিং করবেন।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খােলার পর এসএসসি শিক্ষার্থীদের ৬০ কর্ম'দিবস এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ৮০ কর্ম'দিবস পাঠদান করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়া হবে ।
জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। সেখানে আগামী ৩০ মা'র্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রথম দিকে সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস করবে পঞ্চ'ম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাস করবে সপ্তাহে দুই দিন। বাকি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন ক্লাসে এসে পড়া নিয়ে বাড়ি যাবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মা'র্চ প্রথম করো'না রোগী শনাক্তের পর ১৭ মা'র্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ধাপে ধাপে সাত দফা ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ২৯ মা'র্চ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে আদেশ জারি করে সরকার।