
৬ বছর আগে বাংলাদেশেরই মে'য়ে বিয়ে করেছিলেন নাইজেরীয় স্ট্রাইকার এলিটা কিংসলে। শুধু তাই নয়, সেই সূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ারও আবেদন করেছিলেন। অবশেষে তার আবেদনে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঘরোয়া লিগে পরিচিত ৩১ বছর বয়সী কিংসলে এখন বাংলাদেশেরই নাগরিক! তবে সেজন্য ত্যাগ স্বীকারও করতে হয়েছে। ছাড়তে হয়েছে নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের লিগে খেলে যাওয়া কিংসলের পরবর্তী লক্ষ্য লাল-সবুজ দলে জায়গা করে নেওয়া।
গত ১৪ মা'র্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। যুগ্ম সচিব আলী রেজা সিদ্দিকী' স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রাপ্তির বিষয়ে আপনার আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রাপ্তির জন্য আপনাকে অ'ভিনন্দন।’
নাগরিকত্ব পেয়ে কিংসলেও ভীষণ আনন্দিত। বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমি এই দেশকে ভালোবাসি। এছাড়া এখানে আমা'র পরিবার আছে। তাই এই দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছি। এখন নাগরিকত্ব পেয়ে আমি খুব খুশি।’
২০১১ সালে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ দিয়ে এই দেশের প্রিমিয়ার লিগে খেলা শুরু কিংসলের। করো'নায় সবশেষ বাতিল হওয়া লিগে ৫ ম্যাচে করেছিলেন ৫ গোল। এবার অবশ্য কোনও দলেই খেলেননি। বাংলাদেশে আসার পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে এই দেশেরই মে'য়ে লিজাকে বিয়ে করে বাংলাদেশে স্থায়ী হয়েছেন। বর্তমানে এই দম্পতির একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
কিংসলে এখন লাল-সবুজ দলেও খেলতে চাইছেন। সাধারণত ফিফার আইন অনুযায়ী অন্য কোনও জাতীয় দলে না খেলা ফুটবলার কোনও দেশে পাঁচ বছর খেলার পর নাগরিকত্ব পেলে সে দেশের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ থাকে। জাতীয় দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডেও অবশ্য কিংসলের প্রসঙ্গে স্বভাবসুলভ ব্যাখ্যাই দিয়েছেন, ‘যদি কিংসলে লিগে ভালো পারফর্ম করতে পারে। তাহলে তার জাতীয় দলে খেলার সুযোগ থাকবে।’
এখন ৩১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার কিংসলে নিশ্চয়ই চাইবেন লিগে তেমন কিছু করে দেখাতে। আর তাইতো প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বেই যে কোনও বড় দলে তাকে দেখা গেলে অ'বাক হওয়ার কিছু থাকবে না!