হাই ব্লাড প্রেসার এর সমাধান, কি কি খাওয়া যাবেনা‌! পর্ব - ২

গত পর্বে (গত পর্ব পড়তে ক্লিক করুন) আমরা জেনেছি খাবার থেকে লবণ কমানো এবং এর উপায়। আজ জানব হাই প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরো কিছু খাবার নিয়ন্ত্রণের উপায়।



✅✅ তেল চর্বি বা ফ্যাট জাতীয় খাবার: সব মিলিয়ে দিনে 2 থেকে 3 চা চামচ এর বেশি তেল খাওয়া যাবেনা। সেটা মাছ মাংস কিংবা সবজির তরকারি সাথেই হোক বা নাস্তার ভাজাপোড়া সাথেই হোক।


খাবারে ফ্যাট কমানোর ৬ টি উপায়:

১। রান্না তেল ঢালার সময় চা চামচ ব্যবহার করবেন। তাহলে কতটুকু তেল দিচ্ছেন সেই হিসেব করতে সুবিধা হবে। 

২। মাংস খাওয়ার সময় ছবি ছাড়া মাংস বেছে নিন। 

৩। মুরগির চামড়া খেতে মজা হলেও এটা অনেক ফ্যাট থাকে। তাই এটা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

৪। ডিয়ার মাখন থেকে দূরে থাকবেন , কারণ এগুলো তো ফ্যাটের পরিমাণ বেশি।

৫। দুধের সর, ফুল ক্রিম বা মিষ্টি দই খাবেন না। বরং ফ্যাট ফ্রি দুধ এবং টক দই খাবেন।

৬। ডিম খেলে না পেটে সিদ্ধ করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। একটা ডিম ভাজতে অনেকে 1 থেকে 2 চামচ তেল ব্যবহার করে। 


এবার যেই খাবার নিয়ন্ত্রণের কথা জানবো তাহলো চিনি। মাত্রাতিক্ত চিনি হাই প্রেসার এর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। 

✅✅ চিনি: সারা সপ্তাহের খাবারে যেন 2 থেকে 5 টেবিল চামচ এর কম চিনি থাকে। 

এ বিষয়ে দুটি বোনাস টিপস হ্যালো-

ক।  কোক, 7Up ইত্যাদি কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে থাকে। এগুলো একদম না খাওয়াই ভালো। আপনি সারা সপ্তাহে সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য চিনি খেতে পারবেন 600ml একটি কোমল পানীয়তে তার থেকে বেশি পরিমাণ চিনি থাকে।

খ। টমেটো কেচাপ। এটাতো হিউজ পরিমান চিনি থাকে। আগের পর্বে জেনেছেন এটাতো লবণও থাকে , তাই এটা সম্পূর্ণ রূপে বাদ দিতে হবে। 


লবণের মত তেল ও চর্বি বিভিন্ন ধরনের রান্নার উপকরণ ও খাবারের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারেন। তাই বুদ্ধি খাটিয়ে সতর্কতার সাথে রান্না করা ও খাবার সম্পন্ন করতে হবে।



এই পড়বে এই পর্যন্তই। আগামী পর্বে জানবো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কি কি খেতে হবে।


স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। দ্য স্পেস ইনফিনিটির সাথে থাকুন।

Post a Comment

Previous Post Next Post