সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী আনিস জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আগুন নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
কাজী আনিস কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৩ সালে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।
উদ্ধারকারী আরেক সাংবাদিক জানান, বিকাল আনুমানিক ৫টার সময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পুলিশের সহযোগিতায় দ্রুত সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় কিছুক্ষণ তার সঙ্গে কথা হয়। তিনি হেনোলাক্স কোম্পানি কাছ থেকে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই কোম্পানি পাওনা টাকা দিচ্ছেন না। এ নিয়ে এর আগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
চলতি বছরের ২৯ মে হেনোলাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. নুরুল আমিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার স্ত্রী ডা. ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক অংশীদার বানানোর লোভ দেখিয়ে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় টাকা ফেরতসহ তাদের শাস্তি দাবি করেন কাজী আনিস।
সেই সংবাদ সম্মেলনে কাজী আনিস জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালে নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে ব্যবসায়িক অংশীদায়িত্বের সিদ্ধান্ত নেন তারা। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজী আনিস ব্যবসায় ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে লভ্যাংশসহ মোট তিন কোটি টাকা আনিসকে ফেরত দেওয়া হবে মর্মে চুক্তি হয়। পরে কয়েক দফায় লাভের অংশ থেকে ৭৪ লাখ টাকা তারা আনিসকে দেয়। কিন্ত চুক্তি অনুযায়ী অবশিষ্ট ২ কোটি ২৬ হাজার(লাভসহ) টাকা ফেরত দেয়নি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে কাজী আনিস আরও বলেছিলেন, ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে গিয়ে তার সহায় সম্বল সবকিছু বিক্রি করতে হয়েছে। এখন তিনি নিঃস্ব। এ নিয়ে আদালতে দুটি মামলাও করেছেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
সে সময় যুগান্তরের তরফ থেকে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হেনোলাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তখন তারা ফোন রিসিভ করেনি।