গভীর নলকূপ (টিউবওয়েল) বসাতে গিয়ে পটুয়াখালীর দশমিনায় ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। অনবরত বের হচ্ছে গ্যাস। নলকূপ বসানোর কাজ সম্পন্ন হলেও গ্যাস বের হওয়া বন্ধ হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট এলাকায়।
জানা যায়, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট এলাকার মৃত তাজেম আলী আকনের ছেলে আলতাফ আকন একটি এনজিও সংস্থা থেকে ৫৬ হাজার টাকায় টিউবওয়েল কেনেন। গত ৬ দিন আগে টিউবওয়েলের কাজ শুরু হয়ে বুধবার পাইপ বসানো সম্পন্ন হয়। নলকূপ বসানোর কাজ শেষ হওয়ার পর আলতাফ আকন তার সৌদিতে থাকা প্রবাসী ছেলেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে টিউবওয়েল বসানোর কাজ দেখাচ্ছিলেন।
এ সময় টিউবওয়েলের জন্য স্থাপন করা পাইপের চারপাশ থেকে বুদবুদ শব্দ হচ্ছিল। পরে মিস্ত্রিদের খবর দেওয়া হলে মিস্ত্রিরা এসে পরিস্থিতি দেখেন। এ সময় তাদের সন্দেহ হলে দিয়াশলাই ঠুকে দিলে সেখানে আগুন জলে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমান। শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, সেখানে অনবরত আগুন জলছে।
মিস্ত্রি মোমিন বলেন, তারা নলকূপের পাইপ স্থাপন করে চলে যান। পরে বাড়ির মালিক তাকে ফোন করলে তিনি গিয়ে দেখেন বুদবুদ শব্দ হচ্ছে। পরে দিয়াশলাই ঠুকে দিলে সেখানে আগুন জলে ওঠে।
ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হোসেন মল্লিক বলেন, বিষয়টি একাধিক মহলে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস গিয়েছে।
তারা জানান, গ্যাসের তীব্রতা রয়েছে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি করেন।
দশমিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. আবদুর রশিদ বলেন, গ্যাস ওঠার স্থানটি ঢালাই করে চাপা দিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান শাহিন বলেন, নলকূপের পাইপ স্থাপন শেষে অনেক সময় গ্যাস ওঠে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বলা যায় সেটা স্থায়ী কিনা বা উত্তোলনযোগ্য গ্যাস কিনা।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল-হেলাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার জন্য বলা হবে।