জেলেনস্কির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর

 


ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাইকোলা আজারভ বলেছেন, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে (এনপিপি) হামলা চালাতে রাশিয়াকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজেই। 


ইউক্রেনের আকাশে নো ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠা করার জন্য পশ্চিমা বিশ্বকে রাজি করাতেই জেলেনস্কি এই উসকানি দেন বলে অভিযোগ করেছেন আজারভ।


রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিককে তিনি বলেন, অবশ্যই এটা একটি ইচ্ছাকৃত উসকানি ছিল। কারণ প্রথমত, যেখানে ছয়টি পারমাণবিক শক্তি ইউনিট রয়েছে সেখানে কোনো বুদ্ধিমান রাশিয়ান বা ইউক্রেনীয় সৈন্য কখনও এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস করবে না। 


এদিকে, চলমান সহিংসতায় আজ থেকে যত মানুষের মৃত্যু হবে, তার জন্য ন্যাটো দায়ী থাকবে বলে শনিবার মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেডিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 


ইউক্রেনের আকাশসীমায় বিমান চলাচল নিষিদ্ধ না করায় ন্যাটোর ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন।


ন্যাটোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজ থেকে যত মানুষ মারা যাবে সব আপনাদের (ন্যাটো) জন্য। আপনাদের দূর্বলতার জন্য, আপনাদের অনৈক্যর জন্য। 


ইউক্রেনের উত্তর, পূর্ব, ও দক্ষিণ এলাকায় বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হওয়ায় ন্যাটোর কাছে ইউক্রেনের আকাশসীমায় বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করার দাবি জানায় কিয়েভ।


কিন্তু সেই দাবি নাকচ করে দিয়ে ন্যাটো জানায়, এই অবস্থায় ইউক্রেনের আকাশসীমায় নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করলে যুদ্ধ গোটা উইরোপে ছড়িয়ে পড়তে পারে।


এছাড়া, নো–ফ্লাই জোনের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, এটাতে ভুগবে ইউক্রেনও। দেশটির যুদ্ধবিমানগুলোও রুশ সেনাদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।


যদিও নো-ফ্লাই জোনের বিরুদ্ধে আসা যুক্তিগুলো খুব বেশি বিশ্বাসযোগ্য নয়। নো-ফ্লাই জোন মানে এই নয় যে কোনো উড়োজাহাজ ওড়ার অনুমতি না দেওয়া।


কারণ, নো-ফ্লাই জোনের নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধবিমান দিয়েই বাস্তবায়ন করা হয়। এ সময় বিমানগুলো ক্রমাগত আকাশে টহল দিয়ে থাকে। নো-ফ্লাই জোন শুধু শত্রু যুদ্ধবিমানের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে।


যদি ইউক্রেনীয় যুদ্ধবিমানগুলো ন্যাটোর ‘বন্ধু বা শত্রু শনাক্তকরণ’ যন্ত্র দিয়ে সজ্জিত থাকে, তাহলে স্থল রুশ বাহিনীকে সাহায্য করা হেলিকপ্টারগুলোকে ঠেকিয়ে দিতে পারে।


মারিয়াপোল বন্দরনগরী ঘিরে ফেলেছে রাশিয়ার সৈন্যরা। কিয়েভ ও খারকিভে গোলাবষর্ণ চলছে।


এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের আরও একটি পারমাণবিক কেন্দ্রে দখলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post