ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে বাংলাদেশের ভোটদানে বিরত থেকে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, শান্তি চাই বলেই নিরাপত্তা পরিষদে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে বাংলাদেশ। আর পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে আমরা ভোট দিইনি।
গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে রুশ সৈন্য সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানানো হয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের একটি প্রস্তাবে রাশিয়া ভেটো প্রয়োগের পর সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে বিশ্বের ১৪১টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে- জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপ। আর প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া এবং সিরিয়া। ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ, ভারত ও চীনসহ ৩৫ দেশ।
রাজধানীর প্রেস ক্লাবে সিলেট রন্ত ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান সিএম তোফায়েল সামীর স্মরণে এক সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। এজন্যই আমরা জাতিসংঘে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছি। শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে শনিবার সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের মিনাবাজারে ৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার অভ্যন্তরীণ রাস্তা উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য, কর্মচারী না। ভোট দেওয়া না দেওয়ার হিসাব আমরা করব, আমাদের দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে। মূলত দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে আমরা ভোট দিইনি। শুধু আমরা একা নই, আরও অনেক রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে একই অবস্থানে গিয়ে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধ পছন্দ করেন না। আমরা রাশিয়া-ইউক্রেনের কাছে আবেদন করছি, আপনারা শান্তিপ্রিয় অবস্থানে গিয়ে সমঝোতা করুন, বাংলাদেশ যতটুকু পারে সাহায্য করবে।