রংপুরে শহিদুল ইসলাম শহিদ (২২) নামে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ছাত্রাবাসে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করার আগে একটি সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন শহিদ।
সেখানে তিনি বলেছেন— আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এ মৃত্যুতে যেন কোনো মামলা না হয়, সেটিও নোটে বলা গেছেন শহিদ।
শনিবার বেলা দেড়টার দিকে রংপুর মহানগরীতে দর্শনা এলাকার কলেজ রোডের নীলাঞ্জনা ছাত্রাবাসের একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শহিদুল ইসলাম শহিদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা হলদিবাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য রংপুরে এসে কোচিং করছিলেন তিনি।
ছাত্রাবাসের মালিক শামীম বলেন, শহিদুল শুক্রবার রাতে রুমে একা ঘুমিয়েছিলেন। সকালে উঠতে দেরি হওয়ায় সন্দেহ হলে অনেক ডাকাডাকি করেন তারা। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে দেখেন শহিদ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়। দ্রুত থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তাজহাট থানার এশাই ইজার আলী বলেন, শহিদুল এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির কোচিং করতে রংপুরে আসেন। শনিবার সকাল থেকে তার ঘরের দরজা বন্ধ দেখে মেস থেকে আমাদের খবর দেওয়া হয়। আমরা দরজা ভেঙে দেখি সিলিংফ্যানের সঙ্গে তার লাশ ঝুলছে।
তিনি আরও জানান, লাশের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। এতে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় উল্লেখ করে কিছু কথা লেখা রয়েছে। তার মৃত্যুতে যেন কোনো মামলা না হয়, সেটিও নোটে বলা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে এই আত্মহত্যার পেছনে প্রেমঘটিত ব্যাপারকে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামান প্রধান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে— হতাশ হয়ে ছেলেটি মারা গেছে। লাশ থানায় নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসার পর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।