চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী সম্প্রতি ঘুরে এসেছেন মার্কিন মুলুক থেকে। সেখানে বসেই চুক্তি চূড়ান্ত করেছেন নতুন ছবির। আর দেশে ফিরেই শুরু করেছেন সে সিনেমার কাজ। ২০২২ সালের লক্ষ্য নিয়ে জানান, অভিনেতা হিসেবে নয়, বাপ্পি ফোকাস থাকতে চান ব্যবসায়ী হিসেবে! তার ভাষ্য, ‘চলতি বছর আমি আমার বাবার বিজনেসে ফোকাস রাখতে চাই। এটা একেবারেই আমার নিজের ভাবনা। বাবা এক্সপোর্ট-ইপপোর্টে ‘র কটনের’ সঙ্গে যুক্ত। সেখানেই খুব ভালোভাবে যুক্ত হবো।’
প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন? উত্তরের বাপ্পি জানালেন তার ভক্তদের জন্য কিছুটা দুঃসংবাদ। বললেন, ‘আমার ফ্যামিলি আসলে চায় না, আমি ফিল্মে থাকি। আমার কাছে দর্শক যেমন প্রাধান্য পায় তেমনি সবার ওপরে তো আমার বাবা-মা। তারা দীর্ঘদিন ধরেই চান, আমি অন্যকিছু করি। তাই চলচ্চিত্র কমে যেতে পারে। আমি অভিনয় ছেড়ে দিতে পারি। বাবা-মা যদি সত্যিই তা চান, তাহলে ২০২২-এ আমি চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নেবো। বাবা-মা আসলে আমার গীবত নিতে পারেন না। চলচ্চিত্রের কারণে এটা অনেক হচ্ছে।’ আর সুসংবাদটা হলো, এ বছরই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি। তবে সেখানেও থাকলো শর্ত- যদি বাবা-মা চান! আর সেটা তারা খুব করে চাচ্ছেন, এটাও নিশ্চিত করলেন বাপ্পি। অনেকটা সিনেম্যাটিক ভঙ্গিমায় বললেন, ‘হ্যাঁ, তারা খুব করে চান, আমি বিয়ে করি। বাবা-মা যদি কোনও মেয়েকে বিয়ে করতে বলে, আমি বিয়ে করে ফেলবো। আমি তাকে দেখতেও যাব না। জানতেও চাইবো না, সে কেমন!’
বছরের প্রথমদিন শুটিং থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বাপ্পি বলেন, ‘‘কুস্তিগীর’ ছবি দিয়ে বছর শুরু করলাম। প্রচুর প্রস্তাব আসছে। তবে চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বলাটা ঠিক হবে না। ইতোমধ্যে ‘কুস্তিগীর’র শুটিংয়ের প্রথম লট শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় লট আগামী ৭ জানুয়ারি।’’ ২০২১ সাল নিয়ে বেশ মজা করে বাপ্পি বললেন, ‘আমি আসলে ভুল করিনি। ভুল হয়ে গিয়েছিল। যেগুলো ভুলে হয়েছিল, সেগুলো আর ২০২২-এ করবো না। আমার আত্মবিশ্বাস একটু কম। আমি হুটহাট সিদ্ধান্ত নিই। কনফিউশন হয়- আমি করতে পরবো কিনা! আমার জীবনে অনেক সিদ্ধান্তই ভুল নিয়েছি। যার মাসুল আমি আজও দিয়ে চলেছি। আমি চাই, এটা যেন রিকোভারি করতে পারি।’
শুধু সিনেমা নয়, ২০২১ সালজুড়ে প্রচুর প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছেন! সেটাও অকপটে জানালেন তিনি। এমনকি বাসার নিচে মেয়ে এসে উপস্থিতও হয়েছিল তাকে বিয়ে করবে বলে। নিয়েছিল অবস্থান। মজার সেই স্মৃতি নিয়ে বাপ্পি বলেন, ‘‘যেহেতু বিয়ের প্ল্যান চলছে, আমি এক মেয়ের কাছে থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। সে মেয়েটি নাছোড়বান্দা ভক্ত। বিয়ে করেই ছাড়বে। আমার বাসার নিচেও অবস্থান নিয়েছে, অনেক ট্রাই করেছে। তার বাবাকে দিয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। তার বাবা বলেছেন, ‘আমি আসলে কী চাই, তা দিয়ে হলেও মেয়েকে বিয়ে দিতে চান!’ কিন্তু সৃষ্টিকর্তার রহমতে খেয়ে-পরে ভালো আছি। আমার সে মোহটা কাজ করেনি। আমার মনে হয়েছে, ফ্যান যদি কখনও বউ হয়, তাহলে হ্যাপিনেস নাও আসতে পারে।’’