করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে সরকার। বৈঠকে আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ‘ওমিক্রন’ ইস্যুতে ডাকা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান। মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের আয়োজনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু থাকবে। কিন্তু বলা হয়েছে যাতে টিকা গ্রহণ করে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে টিকা নেওয়ার বিষয়ে ঢিলেঢালাভাব আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আমরা চাইছি যে এটাকে আরও জোরদার করা হোক। আমরাও সহযোগিতা করব। আমরা আহ্বান করছি যাতে করে তাদেরকে তাড়াতাড়ি টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য ক্লাস কমাতে হবে, কমিয়ে দেব। বন্ধ করার প্রয়োজন হলে বন্ধ করে দেব। আমরা সারাক্ষণই করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী স্মরণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসর্গকৃত সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, পাশের দেশ করোনা সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে। আমাদের দেশে করোনার হার কম। এরইমধ্যে কয়েকজনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। তাই আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মন্ত্রী বলেন, বিগত বছরগুলোতে মার্চ মাসে এদেশে সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। তাই মার্চ মাস না আসা পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে সেটা বোঝা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানলে আমরা সংক্রমণ কম রাখতে পারব।
এর আগে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সীমিত পরিসরে ক্লাস চালু করা হয়েছে। আগামী মার্চ পর্যন্ত সেভাবেই ক্লাস চলবে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেওয়ায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভাবিয়ে তুলেছে।