গায়ক ইলিয়াস হোসাইন ৩টি কারণে নবাগত নায়িকা সুবাহ শাহ হু'মায়রাকে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন ওই নায়িকা নিজেই।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ফেসবুকে লাইভে এসে সেই তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন।
যথারীতি তিনি লাইভে এসে অঝরে কাঁদতে কাঁদতে বললেন- ‘এখন আমি বুঝতে পারছি ইলিয়াস আমাকে ৩টি কারণে বিয়ে করেছে। এর মধ্যে প্রথমত- সে অনেক দিন গানের সাথে নেই, তার রোজগার বন্ধ, যে কারণে আর্থিক শংকটে ভুগছে সে। এমন পরিস্থিতিতে আমা'র কাছ থেকে আর্থিক সাপোর্ট নিতেই সে আমাকে বিয়ে করেছে।
দ্বিতীয়ত- ইলিয়াস টার্গেট নিয়েছে ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় নমিনেশন নিয়ে এমপি ইলেকশন করবে। যে কারণে তার আর্থিক সাপোর্ট দরকার। সে মনে করেছিল নায়ক সাকিব খানের মতো প্রতি সিনেমা'র পারিশ্রমিক বাবদ পরিচালকরা আমাকে ৪০-৫০ লাখ টাকা দেন। সেই টাকার ভাগ বসাতেই ইলিয়াস আমাকে বিয়ে করেছে। আসলে আমা'র এতো টাকা নেই।
তৃতীয়ত, ইলিয়াস আমাকে ভোগ করতে বিয়ে করেছে, সে নারী লো'ভী। এর আগেও অনেক মে'য়ের সঙ্গ নিয়ে তাদের জীবন নষ্ট করেছে।
এদিকে ইলিয়াস হোসাইনের বি'রুদ্ধে গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর বনানী থা'নায় মা'মলা দায়ের করেছেন স্ত্রী' সুবাহ শাহ হু'মায়রা। নারী ও শি'শু নি'র্যাতন দমন আইনে ‘যৌতুকের জন্য মা'রধরের’ অ'ভিযোগে মা'মলা'টি দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে আজ (৪ জানুয়ারি) বিকেলে বনানী থা'নার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া আরটিভি নিউজকে বলেন, যৌতুক চেয়ে মা'রধরের অ'ভিযোগে সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাতে গায়ক ইলিয়াসের বি'রুদ্ধে মা'মলা দায়ের করেছেন নায়িকা সুবাহ, মা'মলা নং-০১। মা'মলা'টির ত'দন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
গত ১ ডিসেম্বর বিয়ে করেছেন সংগীতশিল্পী ইলিয়াস ও সুবাহ। বিয়ের এক মাস না পেরুতেই তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। দুজনেই একে অ'পরকে দোষারোপ করছেন। সুবাহ লাইভে বলেন, ইলিয়াস আমাকে নিয়ে একের পর এক মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আমা'র মাকে নিয়েও সে অনেক বাজে কথা বলেছে। আমি আর নিতে পারছি না এসব, তাই লাইভে এসেছি। মিথ্যা বলার একটা সীমা থাকে, আমি সব প্রমাণ নিয়েই হাজির হয়েছি। মা'মলা করেছি, তবে করতে চাইনি। আপনারা আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমি অ'সুস্থ তাই বেশি একটা কথা বলতে পারছি না।
এদিকে সুবাহকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী' কারিন নাজের সঙ্গে সংসার করতে চান গায়ক ইলিয়াস। এমনকি সুবাহর বি'রুদ্ধে ফাঁ'সিয়ে বিয়ে করার অ'ভিযোগে থা'নায় জিডি করেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস এর আগে বলেন, ‘আমি কেন, দুনিয়ার কেউ ওর (সুবাহ) সঙ্গে সংসার করতে পারবে না। ওর সাথে বিয়ে না হওয়াতে নাসির অনেক ভাগ্যবান। অল্প কয়েকদিনে যা দেখলাম, তা বলার বাহিরে। আমা'র নামে যাতে বদনাম করতে না পারে, সেই জন্য বিয়ে করেছি। কেউ যাতে কোনো ধরনের বদনাম না দিতে পারে। আমি সুবাহকে ডির্ভোস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি কারিনের সঙ্গেই থাকতে চাই।’
ইলিয়াস আরও বলেন, ‘সুবাহ আমা'র খুব ভালো বন্ধু ছিল। ও (সুবাহ) ভালো করেই জানত, আমা'র দ্বিতীয় স্ত্রী'র সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে দূরত্ব চলছিল। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। যেটা আমি বুঝতে পারিনি। বিয়ে না করলে আমা'র মানসম্মান, ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ার হু'মকিও দিয়েছে। সুবাহ বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্নভাবে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছিল। মানসম্মানের কথা চিন্তা করে এতদিন চুপ ছিলাম। কয়েকদিন ধরে একের পর এক আ'পত্তিকার ঘটনা ঘটছে, যা আমা'র জন্য বিব্রতকর। পরে ভেবে দেখলাম, সত্যটা সবার জানা উচিত। আর তাই মুখ খুলতে বাধ্য হলাম।’
এই গায়কের ভাষ্য, ‘সুবাহর সঙ্গে আমা'র আড়াই বছরের পরিচয়। তবে বেশি কাছাকাছি আসা হয় আড়াই মাস হবে। বন্ধু হিসেবে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করেছিলাম। তবে বুঝতে পারিনি আমা'র সরলতার সুযোগ নিয়ে ফাঁ'সাবে। বিয়ে তো আমি করতে চাইনি। জো'র করে ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন হু'মকি দিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করেছে। আমি বিয়েতে রাজি ছিলাম না।’
দ্বিতীয় স্ত্রী'র সঙ্গে ডিভোর্স প্রসঙ্গে ইলিয়াস জানান, ‘আমাদের ডির্ভোস হয়নি। ডির্ভোস দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করে সুবাহ, কারিন আমা'র স্ত্রী'৷ মাঝে কারিনের সঙ্গে কয়েক মাস আমা'র যোগাযোগ ছিল না। আর সেই সুযোগটা সুবাহ নিয়েছে। বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করেছে, পরে আমি কাগজ পাঠিয়েছি। তবে কারিনকে সাইন করতে মানা করি। কারিনের সঙ্গে ডির্ভোস হওয়ার এক বছর পর বিয়ের কথা জানাবে বলেছিল সুবাহ। কিন্তু বিয়ের দশ দিনের মা'থায় ছবি প্রকাশ করে৷ আমা'র আড়ালে ছবি তুলেছে। আমা'র ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও দিয়ে সুবাহ আমাকে প্রতিনিয়ত ব্ল্যাকমেইল করেছে। বিয়ে না করলে এগুলো নেটে ছড়িয়ে দেবে বলে হু'মকি দেয়। সেই ভ'য় থেকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি।’