হারুনের ওয়াকআউটের পর যা বললেন বিএনপির রুমিন ফারহানা

 


‘বর্তমান সংসদে অনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা রয়েছেন’- এমন মন্তব্য করায় সরকারদলীয় সদস্যদের তোপের মুখে পড়ে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হারুনুর রশীদ তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করলেও দলটির আরেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা সংসদেই ছিলেন। 


পয়েন্ট অব অর্ডারের বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ওয়াকআউট করে সংসদটাকে খালি করে ফেললে বোধহয় সরকারি দলের সদস্যদের সুবিধা হতো। তবে এত বেশি সুবিধা আমরা দেব না।’ 


রুমিন ফারহানা বলেন, ‘দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। কিন্তু একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। গত ৯ বছরের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর তিন হাজার ৯৭০টি হামলা হয়েছে। সরকারি দলের কিছু সংসদ সদস্য প্রায়ই বলছেন হিন্দুরা দেশত্যাগ করছে, এজন্য তারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে দায়ী করছেন। অথচ সংবিধানে সব ধর্মের সমান অধিকারের কথা বলা আছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের পাশাপাশি অন্য ধর্মের সমান অধিকার দেওয়া আছে। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে সংখ্যালঘু কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে যখন সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হচ্ছে, তখন কেন সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়। যে সরকার ক্ষমতায় আছে তারা দাবি করে- তারা ছাড়া আর কেউ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেয় না। তাহলে তাদের সময় কেন এটা হচ্ছে, কেন এ ধরনের রিপোর্ট আসছে। বাস্তবতা হলো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে, অথচ একটি ঘটনারও বিচার হয়নি।’


বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আওয়ামী লীগ ইউনিয়ন পরিষদে মনোনয়ন দিয়েছিল। পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা ওঠার পর বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু কেন মনোনয়ন দেওয়া হলো, এতেই সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পায়।’ 


রুমিন ফারহানা আরও বলেন, ‘কুমিল্লায় মূর্তির পাশে কুরআন শরিফ রাখার ঘটনার পর পুলিশের ওসির সামনে ফেসবুক লাইভ দেওয়া হয়। অথচ ওসি বাধা দেয়নি। চাঁদপুর, রংপুরে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের নাম এসেছে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা বলছে, সংখ্যালঘুদের ওপর এসব হামলার সময় প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ছিল।’

Post a Comment

Previous Post Next Post