কানাডায় দিনদিন বাড়ছে মু'সলিম জনসংখ্যা


ভবিষ্যতে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মু'সলমান থাকবে যু'ক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণার এই ফলাফলের সাথে ডয়চে ভেলের অনেক পাঠকই একমত৷ তবে আমাদের ফেসবুক পাতায় কেউ কেউ ভিন্নমতও প্রকাশ করেছেন৷


কানাডায় ইস'লাম ধ'র্ম সবচেয় দ্রুতগতিতে প্রসার লাভ করছে বলে একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়। ১৯৯৬ সালের পর থেকে মু'সলিম'দের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কানাডার একটি পরিসংখ্যান।


দ্য ওয়েস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডায় দীর্ঘ সময়ে উল্লেখযোগ্য ধ'র্মীয় পরিবর্তন হয়েছে। সমাজে এর প্রভাব সুদূর প্রসারী। ধ'র্মীয় পরিবর্তনগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে আধুনিক সমাজের পরিবর্তনগুলো ভালো'ভাবে বোঝা যায়।’


স্ট্যাটিস্টিক্স কানাডার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জনসংখ্যার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ধ'র্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ ও গর্ভধারনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জনসংখ্যার কারণগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে।’


কানাডার মোটজনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ মনে করেন তারা কম হলেও যেকোনো ভাবে ধ'র্মীয় কাজে সম্পৃক্ত। শতকরা ২৩ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিয়মিত গির্জা, মন্দির বা ম'সজিদে যাতায়াত করেন। মাত্র ১৬ শতাংশ সাপ্তাহিক ধ'র্মীয় গোষ্ঠীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। আর ২৩ শতাংশ প্রতি মাসে অংশগ্রহণ করেন।


বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক কয়েক দশকে দেখা গেছে, ধ'র্মীয় সম্পৃক্ততা, গোষ্ঠী বা ব্যক্তিগতভাবে ধ'র্মীয় বা আধ্যাত্মিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং মানুষের জীবনযাপনে ধ'র্মীয় ও আধ্যাত্মিক বিশ্বা'সের গুরুত্ব কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।


১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গত ২৫ বছরে কানাডার বিভিন্ন ধ'র্মীয় গোষ্ঠীর সামষ্টিক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, মু'সলিম জনসংখ্যা শতকরা ১ দশমিক ১ থেকে বেড়ে ৩ দশমিক ৭ হয়। ইহুদি জনসংখ্যা শতকরা ১ দশমিক ১ থেকে কমে ১ হয়। শিখ জনসংখ্যা শূণ্য দশমিক ৭ থেকে দ্বিগুণ হয়ে ১ দশমিক ৪ হয়। হিন্দু জনসংখ্যা শূণ্য দশমিক ৫ থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৭ হয়।


সূত্র : দ্য ওয়েস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড

 

Post a Comment

Previous Post Next Post