সুসজ্জিত গেট দিয়ে বের হলো কনের লাশ

 

বেনারসি শাড়ি পরে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল সুইটির। বাড়িতে ধুমধামের সঙ্গে চলছিল সব আয়োজন; কিন্তু বিয়ের আগে গায়েহলুদের দিন জ্বর, ঠাণ্ডা ও গলা ব্যথা নিয়ে মৃত্যু হলো তার। সুসজ্জিত গেট দিয়ে শ্বশুরবাড়ির পরিবর্তে গায়ে কাফন জড়িয়ে কবরস্থানে যেতে হলো তাকে।


মৃত সুইটি আক্তার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাড়াচান্দুরা গ্রামের মো. রশিদ মিয়ার মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্রী ছিল সুইটি। গায়েহলুদের দিন সুইটির এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা। বিয়েবাড়ির আনন্দ মুহূর্তেই পরিণত হয়েছে শোকে।


জানা গেছে, কিছুদিন ধরে জ্বর, ঠাণ্ডা ও গলা ব্যথায় ভুগছিলেন সুইটি। এরই মধ্যে তার বিয়ে ঠিক হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহজাদপুরের মো. শহীদ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার সঙ্গে। শুক্রবার লাল বেনারসি পরে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল সুইটির।


বৃহস্পতিবার বাড়িতে চলছিল গায়েহলুদের আনন্দ। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকে নেয়া হয় তাকে। সেখান থেকে চিকিৎসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। দুপুরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল এলাকায় মৃত্যু হয় সুইটি আক্তারের। পরে লাশ বাড়িতে নিয়ে বিকালে জানাজা ও দাফন করা হয়।


স্থানীয়রা জানান, নিজের বিয়ের জন্য সাজানো গেট দিয়েই কবরস্থানে নেয়া হয় সুইটি আক্তারের লাশ। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


মাধবপুর থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ওই তরুণী কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আগেই চিকিৎসা করানো হলে হয়তো তিনি বেঁচে থাকতেন। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক।


তিনি জানান, সুইটির মৃত্যুতে তার পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার বিয়ের দিন ছিল। তাদের বাড়িতে এখন শোকের মাতম।

Post a Comment

Previous Post Next Post