দখলদার ইসরাইলের একটি যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
সোমবার এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জুদ্দীন আল কাসসাম বিগ্রেড এ হামলার দাবি করেছে বলে ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার ভোরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় নতুন করে সিরিজ বিমান হামলা চালানোর পর এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে হামাসের যোদ্ধারা ইসরাইলের আশকেলান উপকূলে তেল ও গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
খবরে আরো বলা হয়, সোমবার বিকালে কাসসাম ব্রিগেডের সেনারা সাগরে ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এছাড়া, কাসসাম ব্রিগেড আজ ইহুদি উপশহর ‘হার্টসলিয়া’-তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ইসলামী জিহাদের সিনিয়র কমান্ডার হাসাম আবু হারবিদ নিহত হয়েছেন।
সোমবার বিকালে গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় হামলায় নিহত হন তিনি। টানা আট দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান ও কামান হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী।
জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়, যৌথ অভিযানে নিহত আবু হারবিদ ২০১৯ থেকে ইসলামী জিহাদের উত্তর গাজা উপত্যকা বিভাগের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি গত ১৫ বছর ধরে এই সংগঠনটির প্রভাবশালী একজন কর্মী ছিলেন।
রোববার মধ্যরাতের পর ইসরাইলের বিমান বাহিনীর ৫০টি যুদ্ধবিমান পুরো ২০ মিনিট ধরে গাজার মূল শহর ও তার তার আশপাশের এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে।
ইসরাইলের সেনা কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেন, বিমানবাহিনী ইসরাইলের জন্য ‘বিপজ্জনক’ ৩৫টি লক্ষ্যবস্তু ও হামাস যোদ্ধাদের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গপথ, যেগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার ধ্বংস করতে সমর্থ হয়েছে।
গাজার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় সেখানকার কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ প্রচুর বাড়িঘর, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গাজার বেশিরভাগ এলাকা রয়েছে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
বিদ্যুৎ না থাকায় গাজার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থাকা করোনা রোগীরা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় আছেন।