সর্বশেষ যা বললেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম

 

রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর পর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে।


মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর রোজিনা ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হয়।  ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার রিমান্ড নাকচ করেন।  তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  আগামী বৃহস্পতিবার তার জামিন শুনানির দিন ঠিক করে দেন। 


এজলাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রোজিনা ইসলাম বলেছেন, আমার সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে রিপোর্ট করায় আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। 


এরপরই তাকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়।


এর আগে সোমবার দুপুরের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনাকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।  পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন উপসচিব তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।  সেখানে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের’ ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয় এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।


এজাহারে বলা হয়েছে— রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’, তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’ সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল।


পরে মঙ্গলবার সকালে রোজিনা ইসলামকে আদালতে হাজির করে তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।  শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন আদালত।

Post a Comment

Previous Post Next Post