আজ শাজনীনের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

 




ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমানের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার।


১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে শাজনীনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তখন স্কলাসটিকা স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শাজনীনের বয়স ছিল ১৫ বছর।


শাজনীনরা চার ভাই-বোন। বড় বোন সিমিন রহমান বর্তমানে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।


শাজনীনকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলার বিচার হয় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালত শাজনীনকে ধর্ষণ ও হত্যার পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন। ওই ছয় আসামি হলেন— শাজনীনের বাড়ির গৃহভৃত্য শহীদুল ইসলাম (শহীদ), বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্ব পালনকারী ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান ও তার সহকারী বাদল, বাড়ির গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল।


বিচারিক আদালতের ওই রায়ের পর এই মামলার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে যায়। একইসঙ্গে আসামিরাও আপিল করেন। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট শনিরামকে খালাস দেন। বাকি পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল রাখা হয়। পরে হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন— এই চার আসামি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আর ফাঁসির আদেশ পাওয়া অপর আসামি শহীদ জেল আপিল করেন।


আপিল বিভাগ চার আসামির আপিল মঞ্জুর করায় তাদের সাজা মওকুফ হয়। অপর আসামি শহীদের জেল আপিল খারিজ হয়ে যায়। এরপর শহীদ মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) আপিল বিভাগে আবেদন করলেও তা খারিজ হয়। শাজনীনকে হত্যার দায়ে ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে শহীদের ফাঁসি কার্যকর হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post