তামিমা ক্ষমা চেয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে: রাকিব

 


বাং'লাদেশ জাতী'য় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন এর বিয়ে নিয়ে তুমুল তুলকালাম কা'ন্ড চলছে সর্বত্রই বিশেষ করে নাসিরের স্ত্রী'র আগের স্বা’মী অর্থাৎ রাকিব হাসান যখন থেকে কথা বলা শুরু করেছেন তখন থেকেই বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে নাসিরের এই বিয়ে নিয়ে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান এর পূর্বে তিনি বিভিন্ন মন্তব্য করেন এই বিয়ে নিয়ে এরপর থেকেই শুরু হয়ে যায় আলোচনা


এখনো চলমান রয়েছে এবং মানুষ ভিন্ন ভাবে দেখছে তাদের এই বিয়েকে জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসিরের বিয়ে নিয়ে তুমুল বিতর্কের পর সংবাদ সম্মেলনে যে তালাক নোটিশ দেখানো হয়েছে, তা মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী'র আগের স্বা’মী রাকিব হাসান। এটি যে মিথ্যা ছিল তা প্রমাণ করতে আইনি ল'ড়াই চা’লিয়ে যাব’েন বলেও জানান তিনি।



 

গতকাল মানবজমিনের স’ঙ্গে একান্ত আলাপকালে রাকিব হাসান এসব কথা জানান। তিনি আরো বলেন, আমি আইন-আদলতের আশ্রয় নিয়েছি। মা’মলা করেছি। আমা’র আইনজীবী এটি নিয়ে কাজ করছেন। মা’মলার ত’দন্তের জন্য পিবিআইতে দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি তারা ত’দন্ত করে সঠিক ত’থ্যটি আ’দালতে দেবে। আমি দেশের আইনের প্রতি শ্র’দ্ধাশীল

সুষ্ঠু একটি বিচার হবে বলে আমি আশা করছি। গতকাল উত্তরায় একটি ব্যবসা’প্রতিষ্ঠানে বসে মানবজমিন এর স’ঙ্গে আলাপে তামিমা’র স’ঙ্গে বিয়ে পরবর্তী বিভিন্ন বি’ষয়ে কথা বলেন রাকিব। তিনি বলেন, নাসির-তামিমা সংবাদ সম্মেলন করে যে ডিভোর্স লেটারটি দেখিয়েছেন সেটি সম্পূর্ণ বানানো এবং ভু'য়া একটি কাগজ। কারণ আমা’র কাবিন ছিল ৩ লাখ ১ টাকা। কিন্তু তারা দেখিয়েছে ২ লাখ টাকা।



 

নোটিশে যে ঠিকানা দেয়া হয়েছিল সে ৩ নম্বর সেক্টর ৫৩ নম্বর বাসা সেটিও ভু’ল ঠিকানা। ওই কাগজে এ রকম আরো কিছু অস’ঙ্গতি রয়েছে। বড় কথা হলো এটা একটি নকল তালাকনামা। আমি এ ব্যাপারে জো’র দিয়ে বলেছি, এখন পর্যন্ত আমি কোনো ডিভোর্স লেটার পাইনি। এতো বড় মিথ্যা কথা সে কিভাবে বলতে পারে? বর্তমানে তার একটি কন্যা স’ন্তান রয়েছে।


তার স’ন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও এমন মিথ্যার আশ্রয় সে নিতে পারে না। সে আমাকে পছন্দ করছে না, অন্য কারো ঘর করবে করুক। কিন্ত সেটিতো আইনিভাবে করতে হবে। আমাকে যদি ডিভোর্স লেটার দিতো আমি কখনোই তাকে জো’র করে ধরে রাখতাম না। কারণ সেটা তার অধিকার। আমা’র সমস্যা হলো সে ডিভোর্স না দিয়ে বিয়ে করলো।



 

আবার এখন এটি নিয়ে মিথ্যাচার করছে। এটা আসলে মেনে নেয়ার মতো নয়। এমনকি নাসির-ই বা কি করে এই কাজ করতে পারে। সে একজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়। বিয়ের আগে অন্তত সে আমাকে এ বি’ষয়ে জানাতে পারতো ব্যাপারটি। কিন্তু সে আমাকে বিয়ের পরে কল করে সব জানায়।


তিনি আরো বলেন বলেন, এর আগে অলক নামে একটি ছে'লের স’ঙ্গে তামিমা’র সম্প’র্ক ছিল সেটি বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছিল কিনা তা আমা’র জানা নাই। তবে সম্প’র্ক ছিল, তার জন্য তামিমা আমা’র কাছে ক্ষ’মা চেয়েছে। তখন আমি তাকে ক্ষ’মা করে দেই। কারণ আমা’র মনে হয়েছে যে মানুষ ভু’ল করতেই পারে। একটা ভু’ল ক্ষ’মা করা যায়, তাই বলে তো বারবার আর ভু’ল করবে না।



 

সেটা ভেবে আমি তাকে ক্ষ’মা করে দেই। তিনি বলেন, নাসিরের স’ঙ্গে তার একটি বন্ধুত্ব হয়েছে সেটি তামিমা আমাকে নিজেই জানিয়েছিল। আর আমিও সেটি সহ'জভাবেই নিয়েছি। কারণ মানুষের বন্ধুত্ব ‘হতেই পারে। তাছাড়া সে কেবিন ক্রু’র চাকরি করে। এখানে সবাই ওপেন মাইন্ডের। হয়তো কোনো সময় তাদের ফ্লাইটেও পরিচয় ‘হতে পারে। তাছাড়া নাসির একজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়। তার অনেক ফ্যান থাকবে এটাই স্বাভাবিক।


তামিমা হঠাৎ একদিন আমাকে জানালো যে ক্রিকেটার নাসির আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠিয়েছে, আমি একসেপ্ট করেছি। তখন তাকে আমি মজা করেই বললাম, বাহ! ভালোতো। তুমিতো বর্তমানে অনেক ভিআইপি হয়ে গেছো। তোমাকে দেখি ক্রিকেটাররাও ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠায়, দেইখো আবার আমা’রে রাইখা যেও না, কিন্তু এভাবে দুষ্টামি করেছি শুধু। বি’ষয়টি আমি খুবই পজেটিভলি নিয়েছি।


কারণ মানুষের তো বন্ধুত্ব ‘হতেই পারে। আর এটাতো ফেসবুক ফ্রেন্ড। আমা’রো অনেক মে’য়ে মানুষ ফেসবুক ফ্রেন্ড আছে। তাই বলে কি তাদের স’ঙ্গে আমি কোনো সম্প’র্ক করবো? রাকিব বলেন, তামিমাকে আমি খুবই বিশ্বা’স করতাম। কিন্তু সে এমন একটি কাজ করবে সেটি আমি আসলে জানতাম না। এরপরও বলি, সে বিয়ে করতেই পারে। এটা তার অধিকার আছে।


কিন্তু সে আমা’র স’ঙ্গে আইনগতভাবে বিচ্ছেদ করে নতুন করে বিয়ে করতে পারতো। রাকিব হাসান জানান, ২০১০ সালে তামিমা’র স’ঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং প্রে'মের সম্প’র্ক গড়ে ওঠে। আর ২০১১-তে তারা বিবাহ করেন। প্রথমে কোর্ট ম্যারেজ এরপর কাজী দিয়ে তারা বিয়ে করেন। তিনি বলেন, প্রথমে আ ম'র’া সংসার শুরু করি বরিশালে। তারপর ঢাকায় চলে আসি।


এরপর আমা’দের ঘরে একটি মে’য়ে আসে। আমা’দের সু’খের সংসার ছিল। তারপর ৩ বছর পরে আমা’দের ঘরে আসে নতুন অ'তিতি স’ন্তান। সবকিছু সুন্দর মতোই চলছিল। এর মধ্যে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি শুরু করলো। পরে সৌদি এয়ারলাইন্সে চাকরি পায়। তার স্বপ্নই ছিল কেবিন ক্রু হওয়া, বিমানে চাকরি করা। এ বি’ষয়ে আমি তাকে সবদিক থেকে সবসময় সা’পোর্ট দিতাম।


এই সময়কালে তাকে আমি কী'ভাবে সা’পোর্ট দিয়েছি সেটি অনেক ইন্টারভিউয়ে বলেছি। যাকে আমি এতো সা’পোর্ট দিলাম। বলতে গেলে তার স্বপ্ন ছিল কেবিন ক্রু হওয়া, সেই স্বপ্ন পূরণে আমি তার সব সময় পাশে ছিলাম। কিন্তু সে আমা’র স’ঙ্গে এমন বিশ্বা’সঘা’তকতা করবে সেটি কখনো কল্পনাই করিনি।


নাসির হোসেনের বি’তর্কি’ত কর্মকা'ণ্ড ইতিপূর্বে দেখা গিয়েছে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মূ’লত বিভিন্ন সময়ে সমালোচিত হয়ে আসছে ক্রিকেটার নাসির হোসেন এবার বিয়ে করে আবারো নতুন সমালোচনায় এসেছেন তিনি এখন পর্যন্ত তাকে নিয়ে চলছে সব জায়গায় আলোচনা তবে নাসির হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে সব ব্যাপার গু’লো খোলসা করার চেষ্টা করেছেন এবং তার সাথে কথা বলেছেন তার নববিবা’হিত স্ত্রী।

Post a Comment

Previous Post Next Post