Markonikov's Rule


Subject : Chemistry
Chapter : Organic Chemistry
Topic : Markonikov's Rule

মার্কনিকভের সূত্রঃ অপ্রতিসম অ্যালকিনের সাথে অপ্রতিসম বিকারকের সংযোজন বিক্রিয়ায় বিকারক অণুর ধনাত্মক অংশ অ্যালকিনের  π বন্ধনের যে কার্বনে বেশি সংখ্যা H পরমাণু থাকে ঐ কার্বনের সাথে যুক্ত হয়ে প্রধান উৎপাদ তৈরি করে।

[ অপ্রতিসম অ্যালকিন নিয়ে অনেকের একটা ভুল ধারনা থাকে যে π বন্ধন এর দুই পাশে ভিন্ন রকম গ্রুপ থাকলে বা অসমান অংশ থাকলে বুঝি সেটা অপ্রতিসম, কিন্তু না আসলে π বন্ধনের কার্বন দুটিতে যদি অসমান হাইড্রজেন থাকে তাহলে সেটা অপ্রতিসম অ্যালকিন।

CH3-CH=CH2 একটা অপ্রতিসম অ্যালকিন
CH3-CH=CH-CH2-CH3 একটা প্রতিসম অ্যালকিন ]

মার্কনিকভের বিক্রিয়া একটা যুত ববিক্রিয়া।
মার্কনিকভ এর বিক্রিয়াঃ

CH3-CH=CH2 + HCl → 1.CH3-CHCl-CH3 (90%)
                                         2.CH3-CH2-CH2Cl (10%)

মার্কনিকভ সুত্রের কৌশলঃ
১ম ধাপঃ
অপ্রতিসম বিকারকের (HCl) বন্ধনের বিষম ভাঙনের ফলে ইলেকট্রফাইল ও নিউক্লিওফাইল তৈরি হয়। H-Cl এর বন্ধনের ইলেকট্রন Cl নিয়ে মুক্ত হয়। তখন H+ ও Cl- তৈরি হয়। নিচের চিত্রে ভালোভাবে দেয়া হয়েছে।



২য় ধাপঃ
উৎপন্ন ইলেকট্রফাইল (H+) অপ্রতিসম অ্যালকিনের কার্বনে আক্রমন ধারা স্থিতিশীল ( ২ ডিগ্রি ) ও কম স্থিতিশীল (১ ডিগ্রি ) কার্বক্যাটায়ন উৎপন্ন করে।


৩য় ধাপঃ
উৎপন্ন অধিক স্থিতিশীল কার্বক্যাটায়নে অধিক সংখ্যাক নিউক্লিওফাইলের সংযোগ ঘটে ফলে অধিক উৎপাদ উৎপন্ন হয়। অধিক স্থিতিশীল কার্বক্যাটায়নের মাধ্যমে যে যৌগ উৎপন্ন হয় তা হল প্রধান উৎপাদ যা প্রায় ৯০% হয়ে থাকে।



যেনে রাখ স্থিতিশীলতার ক্রমঃ 3 ' > 2 ' > 1 ' কার্বক্যাটায়ন। 

Post a Comment

Previous Post Next Post