ডাইনোসর নিয়ে যত কথা-১
লেখকঃ Ibrahim Alin
একদা এক সময় এই ভুধরে মানুষ ছিলো না। সবাই জানে। কিন্তু আপনি যদি প্রাণী প্রিয় হোমো সাপিয়েন্স নামক প্রাণী হোন তাইলে যদি বলা হয় টাইম মেশিনে আপনাকে যদি পূর্বের দিনগুলিতে নিয়ে যাওয়া হবে তাইলে আপনি নিশ্চই যেতে চাইবেন ডাইনোসর এর যুগে। আমিও তাহাই চাই। আহা তখন এই ডাইনোসর এর কি তর্জন গর্জন ছিলো। আজ তা আর কিছুই নাই। আর কেউ পারবেও না এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পও না! সুতরাং ডাইনোসর এর মতো তর্জন গর্জন করতে ইচ্ছে করলেও পারি না। আচ্ছা ভাবুন তো যে যেদিকে তাকাচ্ছেন বৃহদাকার ডাইনোসর আর ডাইনোসর। আপনি সেখানে সাতিশয় ক্ষুদ্র। আর এসব ডাইনোসর এর হম্বিতম্বি দেখে ভয়ে কুকরে যাচ্ছেন। আচমকা এক ডাইনোসর এসে আপনাকে বলবো ভয় পেয়েন না আমরা আপনার পূর্বেকার বংশধর! গর্বে বুকটা তিন ইঞ্চি ফুলে ফেঁপে উঠলো আপনার। ছোটবেলায় যেমন দাদার পিঠে উঠে খেলেছিলেন আজ খেলছেন আপনার ২৩০ মিলিয়ন বছর পূর্বেকার দাদার পিঠে! চমৎকার। কবি জীবনানন্দ দাশ যদি ডাইনোসরের যুগে কবিতা লিখতেন তাইলে কেমন হতো!
"চমৎকার, ধরা যাক দু একটা ডাইনোসর এবার"!!!
গার্ল ফ্রেন্ডকে পেন্ডার পরিবর্তে ডাইনোসর দিয়ে বলতেন "জানু, তোমার রাতের ঘুমের জন্য এই ছোট্ট উপহার টুকু নাও!!!!"😂😂
গফ বফের বিবর্তনের সাথে কিন্তু ডাইনোসর এরোও বিবর্তন ঘটেছে। মানেন না! তাইলে বিয়া কইরা ফালান! প্রেম পিরিতি আপনার লাইগা না!
তাইলে চলুন না একটু সেই যুগে ঘুরে আসি, দেখে আসি সাক্ষাৎ ডাইনোসর! আমাদের দাদার দাদা তার দাদা তার দাদার দাদার আরোও অনেক আগের দাদাকে দেখি!
তাইলে ডাইনোসর নামক দাদাদের যুগে কি ছিলো? শের শাহ্ এর আমলের মতো ১ টাকায় ৮ মণ চাই ছিলো না নিশ্চই! তাইলে কি ছিলো সেই যুগে.........
মেসোজোয়িক যুগঃ
গ্রিক উপসর্গ meso-/μεσο (মধ্যবর্তী) + গ্রিক zoon/ζωον (প্রাণী বা জীবন্ত সত্তা)> ইংরেজি Mesozoic বাংলা মেসোজোয়িক।
ভূতাত্ত্বিক কাল বিভাজনের একটি অধ্যায়। ২৫ কোটি থেকে ৬৫ লক্ষ বৎসরের মধ্যে এই যুগের সময়কাল বিবেচনা করা হয়। এটি পেলেওজোয়িক (paleozoic) এবং সেনোজোয়িক (Cenozoic) যুগের মধ্যবর্তী যুগ।
প্রাণিকূলের বিকাশের সূত্রে এই যুগের নামকরণ করা হলেও সরীসৃপ জাতীয় প্রাণির ব্যাপক বিকাশের কারণে– একে সরীসৃপ যুগও বলা হয়ে থাকে। এই যুগেই বসবাস করতো বহুল আলোচিত ডাইনোসার। তবে এই যুগের শেষার্ধে অধিকাংশ ডাইনোসারের বিলুপ্তি ঘটে। এই যুগের মধ্যকালে কিছু আদিম পাখি, মৌমাছি, মথ, মাছির উদ্ভব ঘটে এবং শেষার্ধে ক্যাঙ্গারু ও আদি স্তন্যপায়ী প্রাণির উদ্ভব ঘটে। উদ্ভিদ জগতেও একটি বিশাল পরিবর্তন ঘটেছিল। এই যুগের শুরুতে ফার্ন তালজাতীয় গাছ, সপুষ্পক কিছু উদ্ভিদের অস্তিত্ব ছিল। পরে নলখাগড়া, তালজাতীয় বৃক্ষসমূহের ব্যাপক বিকাশ ঘটে। এই যুগের মধ্যকালে নগ্নবীজ উদ্ভিদ, সাইক্যাড জাতীয় বৃক্ষ জন্মে এবং শেষার্ধে পুষ্পবৃক্ষ, পর্ণমোচী বৃক্ষ সমূহের আবির্ভাব ঘটে।
ট্রায়াসিক (Triassic) : ২৫ কোটি থেকে ২০ কোটি আগে এই যুগের সময়কাল হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
জুরাসিক (Jurassic) : ২০ থেকে ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ বৎসর আগে এই যুগের সময়কাল হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
ক্রেটাসিয়াস (Cretaceous): ১৪কোটি ৫০ থেকে ৬৫ কোটি ৫০ লক্ষ বৎসর আগে এই যুগের সময়কাল হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
ট্রিয়াসিক যুগঃ ট্রায়াসিক (অধিযুগ)
ইংরেজি : Triassic
এই অধিযুগটি হলো মেসোজোয়িক যুগের প্রথম অধিযুগ। এই অধিযুগের স্থায়িত্ব কাল হলো— ২৫ কোটি থেকে ২০ কোটি বৎসর পূর্ব-কাল।
জার্মানী এবং উত্তর-পূর্ব ইউরোপের তিনটি ভূস্তরের নমুনা দেখে ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দে Friedrich Von Alberti এই অধিযুগের নামকরণ করেন। এর প্রথম স্তরটি লোহিত অধঃক্ষেপসমূহ (red beds), দ্বিতীয় স্তর খড়িমাটি (chalk), তৃতীয় স্তরটি হলো খনিজ উপকরণ সমৃদ্ধ শিলা (shale)। এই তিনটি স্তর প্রাপ্তির সূত্রে এই নামকরণ করা হয় ট্রায়াস (Trias)।
প্যাঙ্গিয়া মহা-মহাদেশ গঠিত হয়েছিল প্রায় ৩০ কোটি বৎসর আগে। শুরুর দিকে এই মহা-মহাদেশটি একটি অখণ্ড ভূমির সৃষ্টি করেছিল। এই সময় পৃথিবীতে চলছিল কারু বরফযুগ। ২৬ কোটি বৎসর আগে এই বরফযুগের অবসান হয়। ট্রায়াসিক অধিযুগের মধ্যভাগ পর্যন্ত এই মহা-মহাদেশ অখণ্ড দশাতেই ছিল। প্রায় ২০ কোটি বৎসর আগে মহা-মহাদেশটি ভেঙ্গে নতুন রূপ লাভ করে। বিভাজিত এই মহা-মহাদেশের উত্তরাংশকে লাওরেশিয়া এবং দক্ষিণাংশকে বলা হয় গোণ্ডোয়ানা।
এই সময় পৃথিবী যথেষ্ঠ উষ্ণ এবং শুষ্ক ছিল। এই অধিযুগের মধ্যবর্তী-কালে ডাইনোসরের আবির্ভাব ঘটে। মধ্য ট্র্যায়সিক অধিযুগে ডলফিনের মতো দেখতে ইক্থায়োসর (Ichthyosaur) নামক সামুদ্রিক প্রাণীর বর্গের প্রাণীকূলের আবির্ভাব ঘটেছিল ২৪ কোটি ৫০ লক্ষ বৎসর আগে। এদের থেকে ডলফিন এবং তিমি জাতীয় জলচর প্রাণীর আবির্ভাব ঘটেছিল আরও পরে। মূলত ২২কোটি ৫০ লক্ষ বৎসরের দিকে স্তন্যপায়ী প্রাণীর আবির্ভাব ঘটে। এই সময়ে কিছু উড়ন্ত সৃরীসৃপ (pterosaurs) -এর আবির্ভাবও ঘটে। এই সময় কিছু কিছু স্থল-সরীসৃপ পুনরায় জলচর হয়ে উঠে।
এই অধিযুগকে প্রাথমিকভাবে আদি মধ্য ও অন্ত্য তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এই ভাগগুলিকে কতকগুলো অন্তঃযুগে ভাগ করা হয়। নিচে এই বিভাজন দেখানো হলো।
আদ্য ট্রায়াসিক
ইন্ডুয়ান (Induan) : ৫০ কোটি — ২৪ কোটি ৭০ লক্ষ বৎসর
ওলেনেকিয়ান (Olenekian) : ২৪ কোটি ৭০ লক্ষ বৎসর —২৪ কোটি ৫০ লক্ষ বৎসর
মধ্য ট্রায়াসিক
আনিসিয়ান (Anisian) : ২৪ কোটি ৫০ লক্ষ বৎসর —২৩ কোটি ৭০ লক্ষ বৎসর
ল্যাডিনিয়ান (Ladinian) : ২৩ কোটি ৭০ লক্ষ বৎসর —২২ কোটি ৮০ লক্ষ বৎসর
অন্ত্য ট্রায়াসিক
কারনিয়ান (Carnian) : ২৪ কোটি ৮০ লক্ষ বৎসর —২১ কোটি ৬০ লক্ষ বৎসর
নোরিয়ান (Norian) : ২১ কোটি ৬০ লক্ষ বৎসর —২০ কোটি ৩০ লক্ষ বৎসর
হৃটিয়ান (Rhaetian) : ২০ কোটি ৩০ লক্ষ বৎসর —২০ কোটি বৎসর
সূত্রঃ http://onushilon.org/yearbook/trassic.html
লেখকঃ Ibrahim Alin
একদা এক সময় এই ভুধরে মানুষ ছিলো না। সবাই জানে। কিন্তু আপনি যদি প্রাণী প্রিয় হোমো সাপিয়েন্স নামক প্রাণী হোন তাইলে যদি বলা হয় টাইম মেশিনে আপনাকে যদি পূর্বের দিনগুলিতে নিয়ে যাওয়া হবে তাইলে আপনি নিশ্চই যেতে চাইবেন ডাইনোসর এর যুগে। আমিও তাহাই চাই। আহা তখন এই ডাইনোসর এর কি তর্জন গর্জন ছিলো। আজ তা আর কিছুই নাই। আর কেউ পারবেও না এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পও না! সুতরাং ডাইনোসর এর মতো তর্জন গর্জন করতে ইচ্ছে করলেও পারি না। আচ্ছা ভাবুন তো যে যেদিকে তাকাচ্ছেন বৃহদাকার ডাইনোসর আর ডাইনোসর। আপনি সেখানে সাতিশয় ক্ষুদ্র। আর এসব ডাইনোসর এর হম্বিতম্বি দেখে ভয়ে কুকরে যাচ্ছেন। আচমকা এক ডাইনোসর এসে আপনাকে বলবো ভয় পেয়েন না আমরা আপনার পূর্বেকার বংশধর! গর্বে বুকটা তিন ইঞ্চি ফুলে ফেঁপে উঠলো আপনার। ছোটবেলায় যেমন দাদার পিঠে উঠে খেলেছিলেন আজ খেলছেন আপনার ২৩০ মিলিয়ন বছর পূর্বেকার দাদার পিঠে! চমৎকার। কবি জীবনানন্দ দাশ যদি ডাইনোসরের যুগে কবিতা লিখতেন তাইলে কেমন হতো!
"চমৎকার, ধরা যাক দু একটা ডাইনোসর এবার"!!!
গার্ল ফ্রেন্ডকে পেন্ডার পরিবর্তে ডাইনোসর দিয়ে বলতেন "জানু, তোমার রাতের ঘুমের জন্য এই ছোট্ট উপহার টুকু নাও!!!!"😂😂
গফ বফের বিবর্তনের সাথে কিন্তু ডাইনোসর এরোও বিবর্তন ঘটেছে। মানেন না! তাইলে বিয়া কইরা ফালান! প্রেম পিরিতি আপনার লাইগা না!
তাইলে চলুন না একটু সেই যুগে ঘুরে আসি, দেখে আসি সাক্ষাৎ ডাইনোসর! আমাদের দাদার দাদা তার দাদা তার দাদার দাদার আরোও অনেক আগের দাদাকে দেখি!
তাইলে ডাইনোসর নামক দাদাদের যুগে কি ছিলো? শের শাহ্ এর আমলের মতো ১ টাকায় ৮ মণ চাই ছিলো না নিশ্চই! তাইলে কি ছিলো সেই যুগে.........
মেসোজোয়িক যুগঃ
গ্রিক উপসর্গ meso-/μεσο (মধ্যবর্তী) + গ্রিক zoon/ζωον (প্রাণী বা জীবন্ত সত্তা)> ইংরেজি Mesozoic বাংলা মেসোজোয়িক।
ভূতাত্ত্বিক কাল বিভাজনের একটি অধ্যায়। ২৫ কোটি থেকে ৬৫ লক্ষ বৎসরের মধ্যে এই যুগের সময়কাল বিবেচনা করা হয়। এটি পেলেওজোয়িক (paleozoic) এবং সেনোজোয়িক (Cenozoic) যুগের মধ্যবর্তী যুগ।
প্রাণিকূলের বিকাশের সূত্রে এই যুগের নামকরণ করা হলেও সরীসৃপ জাতীয় প্রাণির ব্যাপক বিকাশের কারণে– একে সরীসৃপ যুগও বলা হয়ে থাকে। এই যুগেই বসবাস করতো বহুল আলোচিত ডাইনোসার। তবে এই যুগের শেষার্ধে অধিকাংশ ডাইনোসারের বিলুপ্তি ঘটে। এই যুগের মধ্যকালে কিছু আদিম পাখি, মৌমাছি, মথ, মাছির উদ্ভব ঘটে এবং শেষার্ধে ক্যাঙ্গারু ও আদি স্তন্যপায়ী প্রাণির উদ্ভব ঘটে। উদ্ভিদ জগতেও একটি বিশাল পরিবর্তন ঘটেছিল। এই যুগের শুরুতে ফার্ন তালজাতীয় গাছ, সপুষ্পক কিছু উদ্ভিদের অস্তিত্ব ছিল। পরে নলখাগড়া, তালজাতীয় বৃক্ষসমূহের ব্যাপক বিকাশ ঘটে। এই যুগের মধ্যকালে নগ্নবীজ উদ্ভিদ, সাইক্যাড জাতীয় বৃক্ষ জন্মে এবং শেষার্ধে পুষ্পবৃক্ষ, পর্ণমোচী বৃক্ষ সমূহের আবির্ভাব ঘটে।
ট্রায়াসিক (Triassic) : ২৫ কোটি থেকে ২০ কোটি আগে এই যুগের সময়কাল হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
জুরাসিক (Jurassic) : ২০ থেকে ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ বৎসর আগে এই যুগের সময়কাল হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
ক্রেটাসিয়াস (Cretaceous): ১৪কোটি ৫০ থেকে ৬৫ কোটি ৫০ লক্ষ বৎসর আগে এই যুগের সময়কাল হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
ট্রিয়াসিক যুগঃ ট্রায়াসিক (অধিযুগ)
ইংরেজি : Triassic
এই অধিযুগটি হলো মেসোজোয়িক যুগের প্রথম অধিযুগ। এই অধিযুগের স্থায়িত্ব কাল হলো— ২৫ কোটি থেকে ২০ কোটি বৎসর পূর্ব-কাল।
জার্মানী এবং উত্তর-পূর্ব ইউরোপের তিনটি ভূস্তরের নমুনা দেখে ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দে Friedrich Von Alberti এই অধিযুগের নামকরণ করেন। এর প্রথম স্তরটি লোহিত অধঃক্ষেপসমূহ (red beds), দ্বিতীয় স্তর খড়িমাটি (chalk), তৃতীয় স্তরটি হলো খনিজ উপকরণ সমৃদ্ধ শিলা (shale)। এই তিনটি স্তর প্রাপ্তির সূত্রে এই নামকরণ করা হয় ট্রায়াস (Trias)।
প্যাঙ্গিয়া মহা-মহাদেশ গঠিত হয়েছিল প্রায় ৩০ কোটি বৎসর আগে। শুরুর দিকে এই মহা-মহাদেশটি একটি অখণ্ড ভূমির সৃষ্টি করেছিল। এই সময় পৃথিবীতে চলছিল কারু বরফযুগ। ২৬ কোটি বৎসর আগে এই বরফযুগের অবসান হয়। ট্রায়াসিক অধিযুগের মধ্যভাগ পর্যন্ত এই মহা-মহাদেশ অখণ্ড দশাতেই ছিল। প্রায় ২০ কোটি বৎসর আগে মহা-মহাদেশটি ভেঙ্গে নতুন রূপ লাভ করে। বিভাজিত এই মহা-মহাদেশের উত্তরাংশকে লাওরেশিয়া এবং দক্ষিণাংশকে বলা হয় গোণ্ডোয়ানা।
এই সময় পৃথিবী যথেষ্ঠ উষ্ণ এবং শুষ্ক ছিল। এই অধিযুগের মধ্যবর্তী-কালে ডাইনোসরের আবির্ভাব ঘটে। মধ্য ট্র্যায়সিক অধিযুগে ডলফিনের মতো দেখতে ইক্থায়োসর (Ichthyosaur) নামক সামুদ্রিক প্রাণীর বর্গের প্রাণীকূলের আবির্ভাব ঘটেছিল ২৪ কোটি ৫০ লক্ষ বৎসর আগে। এদের থেকে ডলফিন এবং তিমি জাতীয় জলচর প্রাণীর আবির্ভাব ঘটেছিল আরও পরে। মূলত ২২কোটি ৫০ লক্ষ বৎসরের দিকে স্তন্যপায়ী প্রাণীর আবির্ভাব ঘটে। এই সময়ে কিছু উড়ন্ত সৃরীসৃপ (pterosaurs) -এর আবির্ভাবও ঘটে। এই সময় কিছু কিছু স্থল-সরীসৃপ পুনরায় জলচর হয়ে উঠে।
এই অধিযুগকে প্রাথমিকভাবে আদি মধ্য ও অন্ত্য তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এই ভাগগুলিকে কতকগুলো অন্তঃযুগে ভাগ করা হয়। নিচে এই বিভাজন দেখানো হলো।
আদ্য ট্রায়াসিক
ইন্ডুয়ান (Induan) : ৫০ কোটি — ২৪ কোটি ৭০ লক্ষ বৎসর
ওলেনেকিয়ান (Olenekian) : ২৪ কোটি ৭০ লক্ষ বৎসর —২৪ কোটি ৫০ লক্ষ বৎসর
মধ্য ট্রায়াসিক
আনিসিয়ান (Anisian) : ২৪ কোটি ৫০ লক্ষ বৎসর —২৩ কোটি ৭০ লক্ষ বৎসর
ল্যাডিনিয়ান (Ladinian) : ২৩ কোটি ৭০ লক্ষ বৎসর —২২ কোটি ৮০ লক্ষ বৎসর
অন্ত্য ট্রায়াসিক
কারনিয়ান (Carnian) : ২৪ কোটি ৮০ লক্ষ বৎসর —২১ কোটি ৬০ লক্ষ বৎসর
নোরিয়ান (Norian) : ২১ কোটি ৬০ লক্ষ বৎসর —২০ কোটি ৩০ লক্ষ বৎসর
হৃটিয়ান (Rhaetian) : ২০ কোটি ৩০ লক্ষ বৎসর —২০ কোটি বৎসর
সূত্রঃ http://onushilon.org/yearbook/trassic.html
Tags:
Biology