ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে তুরস্ক দেশ দুটির মার্কিন নেতৃত্বধীন জোট ন্যাটোতে যোগদানের সরাসরি বিরোধিতা করেছিল। তবে ন্যাটোর সদস্য হতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের আবেদনে সমর্থন দিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক। তাই তাদের জোটটিতে যোগদানে তেমন বাধা আর নেই।
এদিকে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের আবেদনে তুরস্কের সমর্থনের খবরেও এই ইস্যুতে নিজেদের অবস্থানে অনড় রাশিয়া।
এ ব্যাপারে রুশ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বুধবারা বলেছেন, রাশিয়া সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনাকে ‘নেতিবাচকভাবে’ দেখেছে। রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে বুধবার আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রিয়াবকভের বরাত দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএও জানিয়েছে, ন্যাটোর সম্প্রসারণ ‘অস্থিতিশীল’ এবং এটা জোটের সদস্যদের নিরাপত্তা বাড়াবে না।
এদিকে, ন্যাটো জোটে যোগদানে তুরস্কের সমর্থনের খবর নিশ্চিত করে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো বলেন, মাদ্রিদে ন্যাটোর এক সম্মেলনে বৈঠকের পর তিন দেশ একের অপরের নিরাপত্তার হুমকির বিরুদ্ধে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে। এ বিষয়ে যৌথ স্বাক্ষরের পর অগ্রগতি এসেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। এতদিন এই আবেদনের বিরোধিতা করে আসছিল ন্যাটোর অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র তুরস্ক। তাদের দাবি, হেলসিঙ্কি ও স্টকহোম কুর্দি গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে এবং আঙ্কারার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এমন অভিযোগ মাথায় নিয়ে তুরস্ককে বোঝাতে মাঠে নামে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। এরই মধ্যে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে যোগ দিতে মাদ্রিদে জড়ো হয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানসহ ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সরকারপ্রধানও। ন্যাটো সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে মঙ্গলবার চার ঘণ্টা আলোচনায় হয়।
ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার সমর্থন প্রসঙ্গে এরদোগান বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন ইস্যুতে কোনো খোলামেলা বা স্পষ্ট মনোভাব নেই ওই দুই প্রতিবেশী দেশের, তাদের কীভাবে বিশ্বাস করব আমি?
জবাবে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের বিবৃতিতে বলেন, ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সন্ত্রাসবাদ দমন সংক্রান্ত নথি ও নীতির প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
এদিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মাদ্রিদের আলোচনা থেকে এরদোগান যেমন চেয়েছিলেন তাই পেয়েছেন।