পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলা সেই বায়জিদ ছাত্রদল করতেন!

 


পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে টিকটক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনা সিআইডি পুলিশের হাতে আটক হওয়া বায়জিদ তালহা ওরফে বায়জিদের বাড়ি পটুয়াখালীতে। তিনি ছাত্রদল করতেন। তবে ছাত্রদল নেতারা দাবি করেন- তিনি ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।


সদর উপজেলার তেলীখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের ছোট ছেলে এই বায়জিদ তালহা। ছাত্রদলের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার তথ্য জেলা ছাত্রলীগ পটুয়াখালী জেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনসহ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।


জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হৃদয় আশীষ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন হীরা ও বলেন, আটক হওয়া বায়জিদ তৎকালীন সময়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেনের মোহনের সঙ্গে ছাত্রদলের রাজনীতি করতো। এছাড়াও বায়জিদ এনায়েত হোসেন মোহনের চাচাতো ভাই এবং একই বাড়ির ছেলে।


ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা আরও বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির লাগামহীন ষড়যন্ত্রের এটিও একটি অংশ। সরকারকে বিব্রত করতে পরিকল্পিতভাবে এই ভিডিও বার্তা ছড়ানো হয়েছে। ভিডিও ধারণের পূর্ব মুহূর্তে নাট-বল্টু খুলে রাখা হয়েছে। পরে সেই দৃশ্য ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত এটাকে গুরুত্ব দিয়ে মূল ঘটনা উৎপাটন করে ব্যবস্থা নেয়া।


তবে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল-হেলাল নয়ন বলেন, বায়জিদ এখন বিএনপি ও রাজনীতি ও ছাত্রদল সঙ্গে যুক্ত নয়।


এদিকে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লব বলেন, বায়জিদ এসএসসি পাশ করে ঢাকা গিয়ে কলেজে ভর্তি হয়। সে কখনোই ছাত্র দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বরং বায়জিদ ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে তার ছবি রয়েছে। যা তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে আপলোড করা আছে।


তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দেশের অর্জন এটা অস্বীকার করা সুযোগ নাই। কিন্তু সেতুর নাট-বল্টু সংযোজনে ত্রুটি আছে। যা সংশোধন করে ঝুঁকিমুক্ত করা উচিত।


প্রসঙ্গত, রোববার পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে তা ভিডিও করে টিকটক বানানো এবং ব্যক্তিগত ফেসবুকে আপলোড করে বায়জিদ তালহা ওরফে বায়জিদ। এ ভিডিও ছড়িয়ে গেলে হৈচৈ পরে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সিআইডি পুলিশ তাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়।


সিআইডি পুলিশের সাইবার ইন্টেলিজেন্স এন্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আটকের পর তাকে সিআইডি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেখানে একাধিক ইউনিটের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে কথা বলছেন।


Post a Comment

Previous Post Next Post