৫ প্রাকৃতিক উপায়ে কমবে কোলেস্টেরলের মাত্রা

 


কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোষের দেয়ালগুলোকে নমনীয় রাখতে সাহায্য করে এবং বেশ কয়েকটি হরমোন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু শরীরের যে কোনো কিছুর মতোই ভুল জায়গায় অত্যধিক কোলেস্টেরল জমা হলে বা কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেই সমস্যা তৈরি হয়।


উচ্চমাত্রার লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) নামের কোলেস্টেরল রক্তনালীর দেয়ালে জমার ফলে ধমনি, স্ট্রোক, হার্টঅ্যাটাক এবং কিডনিসহ নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।


তাই আমাদের উচিত আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ে সতর্ক থাকা। এ জন্য আজ জানুন যে ৫ প্রাকৃতিক উপায়ে কমবে কোলেস্টেরলের মাত্রা—


১. ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার

ওমেগা-৩ ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটগুলোর একাধিক ডবল বন্ড রয়েছে, যা তাদের শরীরে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের চেয়ে আলাদাভাবে আচরণ করে। গবেষণায় দেখা যায় যে, পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।


২. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার

দ্রবণীয় ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। আর আপনার অন্ত্রে বসবাসকারী উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্রবণীয় ফাইবার হজম করতে পারে। আসলে এটি সেই ব্যাকটেরিয়ার নিজস্ব পুষ্টির জন্যও প্রয়োজন। আর এসব ভালো ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিক ক্ষতিকারক ধরনের লিপোপ্রোটিন ও এলডিএলের মাত্রা কমায়।


৩. ব্যায়াম

ব্যায়াম করলে তা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে। এটি শুধু শারীরিক সুস্থতাই উন্নত করে না; বরং স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, ক্ষতিকারক এলডিএল কমায় এবং উপকারী এইচডিএল বাড়াতেও উপকারী হিসেবে কাজ করে।


৪. ধূমপান এড়ানো

ধূমপান বিভিন্ন উপায়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়াও এটি শরীরে কোলেস্টেরল পরিচালনা করে তা পরিবর্তন করে। 

তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চাইলে ধূমপান এড়াতে হবে।


৫. ওজন কমানো

ডায়েটিং বা ওজন কমালে তা আপনার শরীর থেকে কোলেস্টেরল শোষণ করে। এ নিয়ে ৯০ জন প্রাপ্তবয়স্কের দুই বছরের গবেষণায় দেখা গেছে যে, কোনো ডায়েটে ওজন কমানোর খাদ্য কোলেস্টেরল শোষণকে বাড়িয়েছে এবং শরীরে নতুন কোলেস্টেরল তৈরিও কমিয়েছে।


তত্যসূত্র: হেলথলাইন ডটকম

Post a Comment

Previous Post Next Post