তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির অভ্যূদয়। পঁচাত্তরের আজকের এদিনেই জিয়াউর রহমান বহু সৈনিক ও অফিসারের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। এই দিনে জিয়া সিপাহী বিপ্লবের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের হত্যা করে একটি রক্তাক্ত ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে।
‘মুজিববাদ প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য এই শ্লোগান’ এ অনুষ্ঠিত আজ রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গনে (সামনে) ‘৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রীকে সম্প্রতি সময়ে মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে সাহসী বক্তব্য রাখার জন্য বিশেষ সম্মননা প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর এর বিপ্লবের কারিগর ছিলেন কর্নেল তাহের। এই বিপ্লবের ফলে ক্ষমতায় বসে খুনী জিয়াউর রহমান। জিয়া শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করাই নয়, সেই ক্ষমতা নিষ্কণ্টক রাখতে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অফিসার হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছিলেন।
জিয়া পরিবার দেশকে ধ্বংস করেছে উল্লেখ করে ডা. মুরাদ বলেন, খালেদা জিয়া এবং তার সাজাপ্রাপ্ত পুত্র তারেক এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেছে। তারেক লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কুমিল্লায় পুজামন্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার পরিকল্পনাকারী তারেক ও বিএনপি’র নেতারা। তারেক গংরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া। এই তারেক গংদের বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে হবে। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়ার সমাধি অপসারণ করা হবে। খুনি জিয়ার নামে বাংলাদেশে কোনো স্মৃতি চিহ্ন থাকতে পারে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পচাত্তরের পনের আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবার হত্যা থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত বিনা বিচারে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের নির্মমভাবে হত্যা করার অপরাধে খুনী জিয়ার মরণোত্তর বিচারসহ একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ ডলার বা ২৯ হাজার ৪৩০ টাকা।
বাহাত্তরের সংবিধান সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতেই হবে এর বাইরে বাংলাদেশ চলতে পারেনা। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন মাহতাব স্বপ্নিল ও ভাস্কর শিল্পী রাশা। সূত্র-বাসস।