সদ্য সমাপ্ত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১৬ দলের মধ্যে সবচেয়ে বাজে ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি। বিশ্বকাপ পরবর্তী পা'কিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে আবারো শুরু হলো জার্সি বিতর্ক। এবারের বিতর্ক ছাড়িয়ে গেছে অ'তীতের সব সীমা। এ যাবতকালের সবচেয়ে কুৎসিত ও জঘন্য ডিজাইনের জার্সি পরে আজ শুক্রবার পা'কিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামছে বাংলাদেশ দল। তা জার্সির ডিজাইন খা'রাপ হতেই পারে। এমনটা অনেক দলের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে জার্সির বিজ্ঞাপনদাতার মানসিকতা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে।
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পৃষ্ঠপোষক ই-কমা'র্স প্রতিষ্ঠান দারাজ। মাহমুদউল্লাহদের জার্সির বুকে ‘দারাজ’ দুবার লেখা হয়েছে। বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানের নাম জার্সির বুকে সাধারণত একবারই লেখা হয়ে থাকে। কিন্তু এবারের জার্সির নকশায় বুকের মধ্যেই লেখা হয়েছে দুবার। ডান হাতের স্লিপেও আরেকবার ‘দারাজ’ লেখা দেখা যায়।
বাংলাদেশের এবারের জার্সিতে সামনে থেকেই দেখা যাচ্ছে তিনবার পৃষ্ঠপোষক কোম্পানির নাম। বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের প্রচার-প্রচারণায় এটা করে নিজেদের শতভাগেরও বেশি স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে বিসিবির মতো দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান কী'ভাবে এমন জার্সির অনুমোদন দিতে পারে?
এদিকে এই জার্সি উন্মোচনের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যাচ্ছে বিতর্কের ঝড়। নেটিজেনদের একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘রুচিহীন, কুৎসিত ও জঘন্য এই বি'জ্ঞপ্তিওয়ালা জার্সি বিজ্ঞাপনদাতাদের অখাদ্য মানসিকতার প্রকাশ। পারলে শরীরে ট্যাটু করতো মনে হয়।’
তাছাড়া নূর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিসিবিকেও। তিনি লিখেছেন, ‘গলার নিচে ডিজাইন দেখেন। শেফ এর এপ্রোন কে'টে দিয়েছে মনে হয়। তারচেয়েও জঘন্য নয় শ কোটির মালিক (বাংলাদেশ ক্রিকেট) বোর্ড। এই জার্সি তারা কেন গ্রহণ করে? কি বিশ্রীভাবে এখানে স্পন্সরের নাম লেখা। সামনে দুবার? কেন?’
এদিকে নূর প্রশ্ন তুলেছেন বিসিবির পৃষ্ঠপোষক কোম্পানিগুলোর নির্বাচন নিয়েও। বলেছেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানের কু-কী'র্তির ত'দন্ত চলছে আর তখনি এটা ক্রিকে'টের জার্সিতে। ই-ভ্যালিও ছিলো। চু'রিমুরির ত'দন্ত চলা কোম্পানি ছাড়া বোর্ড আর স্পন্সর পায় না। এই কোম্পানি নাকি বে-আইনি গেম কার্ড বেচতো আর বে-আইনি প্রিলোডেড ক্রেডিট কার্ড? কু'রুচি টু দ্য এক্সট্রিম।’
আরেক লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি দেখে মনে হলো কোনো যাত্রাদলের জার্সি। এটা স্রেফ একটা ফাত্রামি।’ আরেকজন ফেসবুকে পোস্ট করেন, ‘বাংলাদেশ দলের জার্সির ডিজাইনার আর সিলেক্টর কারা? তারা জার্সির ডিজাইন কি উন্মুক্ত করে দিতে পারে না? স্কটল্যান্ড ক্রিকেট থেকে শিক্ষা নিতে পারে বিসিবি।’