কলকাতার জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ও সুরকার অনুপম রায় এবং তার স্ত্রী পিয়ার দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিল। দুজনে একসঙ্গে পার করেছেন প্রায় ছয় বছর। হঠাৎ গতকাল বৃহস্পতিবার এ দম্পতি টুইটারে এক যৌথ ঘোষণায় জানান-তারা বন্ধু হয়ে থাকবেন। তবে একসঙ্গে আর সংসার করছেন না। এরপরেই টালিউডে তাদের বিচ্ছেদের খবরটি নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হতে থাকে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার ও হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, অনুপম-পিয়ার সংসার ভাঙার নেপথ্যে এক বলি তারকার উপস্থিতি রয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস এক তারকার কথা বললেও আনন্দবাজার পত্রিকা সেই তারকার নাম খোলাসা করেছে।
পত্রিকাটির দাবি, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে যখন গোটা বাংলা বিপর্যস্ত তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তন্ময় ঘোষের সংগঠন ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এ মঞ্চেই যোগ দিয়েছিলেন অনুপম, পরমব্রত, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়সহ এক ঝাঁক তারকা। যুক্ত হয়েছিল পিয়া চক্রবর্তীর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘হেডস’। এরা মিলেই করোনা মহামারির সময় গঠন করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সিটিজেন্স রেসপন্স’। পরে সেই সংগঠনে যোগ দেন পিয়া চ্যাটার্জিও।
এদিকে পরমব্রতর জন্মদিন ২৭ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরমের সঙ্গে ছবি আপলোড করে শুভেচ্ছা জানান। সেখানে লিখেছিলেন, 'শুভ জন্মদিন। আরও অনেক স্মৃতি তৈরি করব আমরা।'
সেই রেশ ধরেই, ১৬ আগস্ট পিয়ার জন্মদিনে পরমব্রত শুভেচ্ছা জানান। ইনস্টাগ্রামে ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন বন্ধু। কমরেড, ভরসার মানুষ। চলো, অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি তৈরি করি। ঠিক যে রকমটা তুমি চেয়েছিলে জন্মদিনে।'
এছাড়াও ডেউচা পাচামি খনি প্রকল্পে আদিবাসীদের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, তার দেখভালে তৈরি হয়েছে নয় সদস্যের এক কমিটি। নাম না হওয়া সেই কমিটির প্রধান পরমব্রত। সম্প্রতি তাতে নাকি যোগ দিয়েছেন পিয়াও। এসব যোগ বিয়োগ করেই সবাই হিসাব কষছেন পরম-পিয়ার সম্পর্কই অনুপমকে ছিটকে দিলো সংসার জীবন থেকে।
২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর পিয়াকে বিয়ে করেন অনুপম। অনুপমের স্ত্রী পিয়া নৃবিজ্ঞানে পিএইচডি করেছেন গ্রেটার নয়ডার শিব নাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলেজে পড়ার সময় অনুপমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল তার। এই বন্ধুত্ব পরবর্তীতে এসে গড়ায় ভালোবাসার সম্পর্কে। তার পরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তত দিনে অনুপমের প্রথম বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।