গবেষণা বলছে, একটি সিগারেটের ধোঁয়ায় দুশো’রও বেশি বিষাক্ত পদার্থ থাকে। যা থেকে বিভিন্ন মরণব্যাধি রোগের উৎপত্তি হয় মানুষের দেহে। কিন্তু ধূমপান ছেড়ে দেয়ার ঠিক পরপরই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে কীভাবে পরিবর্তন ঘটে সেই বিষয়গুলো জেনে নিন।
১. ২০ মিনিট পর ধূমপায়ীর রক্তচাপ, নাড়ীর গতি এবং দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
২. আট ঘণ্টার মধ্যে ধূমপায়ীর রক্তের কার্বন মনোঅক্সাইডের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
৩. তিন দিনের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশংকা কমে যাবে।
৪. শ্বাসকষ্ট এবং সিওপিডি অনেক ভাল হয়ে যাবে।
৫. ১ বছর পর হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশংকা ৫০% কমে যাবে এবং ক্যান্সার হওয়ার আশংকাও কমে যাবে।
৬. ১০ বছর পর হার্ট এ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার আশংকা এতটাই কমে যাবে তা অধূমপায়ীদের মত হয়ে যাবে।
৭. ধূমপানের কারণে যে অর্থ খরচ হয় সে অর্থ জমিয়ে অনেক প্রয়োজনীয় ভালো কাজ করা যেতে পারে।
ধূমপান ভালো কিছু বয়ে আনে না। বরং নিয়ে আসে রোগ-বালাই, অশান্তি ও অর্থনৈতিক ক্ষতি। শুধু সাময়িক মানসিক প্রশান্তির আশায় আমরা ধ্বংস করে দিচ্ছি নিজেদের। পরিবারকে ঠেলে দিচ্ছি ঝুঁকির মধ্যে, অভিভাবকহীনতার নিরাপত্তহীনতায়। আসুন আজ আপনার নিষ্পাপ শিশু সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রতিজ্ঞা করি ‘ধূমপান আর নয়’।