৩৯ মাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় দেশের পুঁজিবাজার

 


 করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল দেশে লকডাউন শুরু হয়। কিন্তু লকডাউনের মধ্যেও টানা উত্থানের মধ্যে অগ্রসর হয় দেশের পুঁজিবাজার। গত সোয়া তিন বছরের মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মো) সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে দেশের পুঁজিবাজার। এক দশক পর ব্যাংক খাতে চাঞ্চল্য ফিরে আসার পর বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনা বাড়িয়ে দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্বপ্ন আরও বড় হচ্ছে।


আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার পয়েন্ট ছুঁইছুঁই করছে। দিনশেষে ডিএসইর সূচক দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯৮৫ পয়েন্ট।


এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে সূচক ছিল ছয় হাজার ৫০ পয়েন্ট। এরপর নানা সময় পুঁজিবাজারে উত্থান দেখা গেলেও আর ছয় হাজার পয়েন্ট আর অতিক্রম কমতে পারেনি।


গত বছরের শেষ দিক থেকে পুঁজিবাজারে আবার উত্থান দেখা দেয়ার পর চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি সূচক উঠে ৫ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যশা ছিল এই সময়ে সূচক ছয় হাজারের ঘর অতিক্রম করবে। কিন্তু সেদিনের পর পর কমতে কমতে ৪ এপ্রিল সূচক প্রায় পাঁচ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকে।


পরদিন থেকে লকডাউনকে কেন্দ্র করে আগের দিন পৌনে দুইশ পয়েন্ট সূচক হারানোর পরদিন থেকেই দেখা দেয় উত্থান পর্ব। এরপর দুই মাসেরও কম সময়ে নয়শ পয়েন্টের বেশি বাড়ল সূচক।


আজ ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনও বেড়েছে বড় ব্যবধানে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে বড় ব্যবধানে।


এর আগে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে দুই হাজার ৩৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আজ ডিএসইতে আগের সেদিন থেকে ৩৬০ কোটি ৬ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৮ কোটি ৮২ লাখ টাকার।


এদিন ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১০১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৮৫ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়েছে এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়েছে।


বৃহস্পতিবার ডিএসইতে মোট ৩৬৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৩টির, দর কমেছে ১৪৩টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টি কোম্পানির।


অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৮৮ পয়েন্ট। সূচকটি ১৭ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার।


সিএসইতে মোট ২৯৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৪টির, দর কমেছে ১২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।

Post a Comment

Previous Post Next Post