ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই নদীবন্দরে এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, বিকেল থেকে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। ঢাকাসহ ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, সিলেট, রাজশাহী বিভিন্ন এলাকায় কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই প্রবণতা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
রোববার (৩০ মে) রাজধানীতে মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো একটানা ঘণ্টাখানেক বৃষ্টিপাত হয়েছে সন্ধ্যার পর। সঙ্গে বজ্রপাতও হয়েছে। তবে দমকা হাওয়া বা বজ্রপাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বৃষ্টিপাতে কমে গেছে দু’দিনের গরম অনুভূতি।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় সোমবার (৩১ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় খুলনা, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা কুষ্টিয়া বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো অথবা দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে চাঁদপুর, ফেনী, মাইজদীকোট, মৌলভীবাজার ও খুলনা জেলা সমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। ফলে তাপমাত্রায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এসময় ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিমি।
মঙ্গলবার নাগাদ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হবে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাঈজদীকোর্ট ও ফেনীতে, ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে নেত্রকোণায়, ২৩ মিলিমিটার।