ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে দেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিন দিন আগে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (২৫ মে) পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, মৃত ওই ব্যক্তি মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন। এর আগে চলতি মাসে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে দুজনের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত করা হয়। হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, গত ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেক জনের শরীরেও ছাত্রাকজনিত রোগটি শনাক্ত হয়। তারা দুজনেই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। পরে করোনা মুক্ত হন তারা।
এ বিষয়ে বারডেম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. লাভলি বাড়ৈ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের ল্যাবে দুজনের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হয়েছে। বারডেম হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে কোভিড-১৯ রোগীর শরীরে এবারই প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হলো। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব সতর্ক।’
রোগটির বিষয়ে গত রোববার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিরল এ সংক্রমণে মৃত্যু হার ৫০ শতাংশের মতো। বাঁচার জন্য অনেককে চোখও ফেলে দিতে হয়। কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার ১২-১৮ দিনের মাথায় এ রোগে আঘাত হানার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে মিউকরমাইকোসিসে ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি বলেও মনে করা হচ্ছে।
একই তথ্য দিয়ে অধ্যাপক ডা লাভলি বাড়ৈ বলেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাদের সতর্কভাবে চিকিৎসা দিতে হয়।’