প্রথম আলোর সিনিয়র প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছিল পুলিশ। তবে আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে কারাগারে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে আদালত থেকে বের করে পুলিশ।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা রোজিনাকে জিজ্ঞেস করেন- তার কিছু বলার আছে কি না? জবাবে রোজিনা ইসলাম বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে, আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে রিপোর্ট করায় আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।’’
তবে সাংবাদিক রোজিনাকে এর বেশি কথা বলতে দেওয়া হয়নি। উল্লিখিত কয়েকটি কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় ‘কথা বলা যাবে না, কথা বলা যাবে না’ বলে সাংবাদিকদের জানায় পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত শুনানি শেষে পুলিশের করা রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ২০ মে রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
তার এর আগে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর রোজিনাকে সিএমএম আদালতে তোলা হয়। এর আগে সকাল ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয় এবং শুনানির আগ পর্যন্ত তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার (১৭ মে) পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। সেখানে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করেন। এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এর পর খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে পুলিশ তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
অপরদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা ও তথ্য চুরির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
শাহবাগ থানা সূত্রে জানা যায় যে, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধারাগুলো হলো ৩৭৯, ৪১১ এবং অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট এর ৩/৫।