অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আঘাত হেনেছে ভারতের ওড়িষার ধামরা ও বালাশ্বরে। আজ বুধবার (২৬ মে) সকালে ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়, এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার। আড়াই থেকে ৩ ঘণ্টা ধরে এই প্রক্রিয়া চলবে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মে) ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানায়, মঙ্গলবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ওডিশার বালাসোর থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে, পারাদ্বীপ থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। এ প্রসঙ্গে কলকাতার আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের উপপরিচালক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ওডিশার পারাদ্বীপ এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এলাকার মধ্যবর্তী যেকোনো এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
দিঘায় ৩০ ফুটের উপর জলোচ্ছ্বাস: আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ওড়িশার ধামড়া থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার পূর্বে, দিঘা থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে এবং বালাসোর থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ অবস্থান করছে। ধামড়ায় আছড়ে পড়ার সময় হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ১৩০ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার। দিঘাতে শুরু হয়েছে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া। ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার বেগে বইছে হাওয়া। ৩০ ফুটের উপরে জলোচ্ছ্বাস। বোল্ডার পেরিয়ে জল ঢুকছে দিঘায়। জলমগ্ন শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। কলকাতায় ৬২ কিলোমিটার এবং ফ্রেজারগঞ্জে ৬৮ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া।
ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নবান্ন এবং উপান্নে খোলা হয়েছে দু’টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখান থেকে রাতভর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর হয়ে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ‘যশ’ মোকাবিলায় রাজ্যের প্রস্তুতির ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। যাতে কোনও বিপদ না হয় তাই বুধবার কলকাতার বেশিরভাগ ফ্লাইওভারে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্ধ গার্ডেনরিচ, তারাতলা, পার্ক স্ট্রিট, উল্টোডাঙা, চিংড়িহাটা, গড়িয়াহাট, এজেসি বোস এবং মা ফ্লাইওভার। বন্ধ কলকাতা এবং ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর।