যুদ্ধবিরতির পরেও আল-আকসায় জুমার নামাজে মুসল্লিদের উপর ইসরাইলি বাহিনী হামলা; আহত বহু মুসল্লি



ইসরাইলি সি-এফায়ারের পরে আল-আকসায় মুসল্লিদের আক্রমণ করে ইসরাইলি পুলিশ। দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে জুমার নামাজ পড়া মুসল্লিদের উপর হামলা করে তারা।

এই হামলায় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের রেড ক্রিসেন্ট এখনও কত লোক আহত হয়েছে তার সংখ্যা প্রকাশ করতে পারেনি।

অধিষ্ঠিত পূর্ব জেরুসালেমে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিরা শুক্রবার সকালে আল-আকসা মসজিদে ফ্ল্যাশপয়েন্টে গিয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধী দল ইস্রায়েল ও হামাসের মধ্যে পৌঁছে যুদ্ধবিরতি উদযাপন করেছে।

পরে তারা আল-আকসা থেকে ওল্ড সিটি এলাকায় যাত্রা করতে চেয়েছিল, কিন্তু ইস্রায়েলি পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে স্ট্রেন গ্রেনেড এবং গ্যাস নিক্ষেপ করেছিল।

শুক্রবার (২৩০০ জিএমটি বৃহস্পতিবার) দুপুর ২ টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইস্রায়েলি বিমান হামলার ১১ দিনের পরে মিশরীয় দালাল যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল। ১০ মে থেকে ইস্রায়েলি হামলার সময় ৬৫ শিশু ও ৩৯ জন সহ মোট ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সুত্রল মিডল ইস্ট আই

তুরস্কের উত্থানের অপেক্ষায় বিশ্বের নিপীড়িত মানুষ: এরদোয়ান

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত মানুষ একটি শক্তিশালী তুরস্কের উত্থান দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন।

ইসরায়েলি দখলদারিত্ব শুরু হওয়ার পর কীভাবে ফিলিস্তিনের মানচিত্র পরিবর্তন হয়ে গেছে, বিশ্বকে তা দেখাবে তুরস্ক।

শুক্রবার (২১ মে) দেশটির উত্তর মারমারা সড়কপথের সপ্তম অংশের উদ্বোধনীতে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল’ কী, তা সারা বিশ্বের জানা উচিত।

এ সময়ে তুরস্কের কূটনীতিক ভোলকান বজখিরের সভাপতিত্বে ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনকে সফল আখ্যায়িত করেছেন এরদোয়ান।

তিনি বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে ইসরায়েল কীভাবে ফিলিস্তিন দখল করে নিয়েছে, তা নিয়ে অধিবেশনে কথা বলেন তারা। ফিলিস্তিন এখন ছোট্ট একটি ভূখণ্ড হয়ে গেছে।

এদিকে যুদ্ধবিরতি হলেও ফিলিস্তিনিদের বসতি ও আল-আকসা রক্ষায় লড়াইয়ে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

আন্দোলনটির রাজনৈতিক শাখার নেতা ইজ্জাত আল-রাসিখ বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় বোমা হামলায় ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

কাতারের দোহায় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ বন্ধ হলেও আমাদের হাত বন্দুকের নলেই রয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ববাসীর জেনে রাখা উচিত যে, আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। আমরা প্রতিরোধের সক্ষমতা নিয়মিতভাবে বাড়াতে থাকবো।

এ সময় আল-আকসা মসজিদের সুরক্ষা ও পূর্ব জেরুজালেমে বসতি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন এই হামাস নেতা। এটিকে রেড লাইন হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।

রাশিখ দাবি বরেন, এই লড়াই থেকে যে ফল এসেছে, তা আগেরগুলোর সঙ্গে মিলবে না। কারণ ফিলিস্তিনি জনগণ প্রতিরোধে সমর্থন দিয়েছেন। তারা জানেন, তাদের ভূখণ্ড দখলদারদের কাছ থেকে মুক্ত করতে প্রতিরোধের বিকল্প নেই। এই প্রতিরোধই পারে পবিত্র ভূমিকে সুরক্ষা দিতে।

গত ১১ দিনের লড়াইয়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া হাজার হাজার লোক গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post