মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে শনিবার রাতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১২) কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করেছে। রাতেই ওই ছাত্রীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ওই ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী মামা বাড়ি থেকে শনিবার ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে একই গ্রামের মালেক মোড়লের ছেলে জাকির মোড়ল (৩০), লাল মিয়া মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর (২০) ও আরও দুজনে মিলে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধরে ধর্ষণ করে।
এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাতেই মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রোববার সকালে ওই ছাত্রীর মেডিকেল আলমত সংগ্রহ করেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার।
ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসার ছাত্রী জানায়, আমাদের বাড়ির পাশেই আমার মামা বাড়ি। সন্ধ্যার সময় আমি বাড়ি থেকে মামা বাড়ি যাই। রাত ৮টার দিকে মামা বাড়ি থেকে বাড়িতে ফেরার পথে জাকির, বাদলসহ চারজনে আমাকে জোরপূর্বক ধরে আমার ক্ষতি করেছে। আমি জাকির, বাদলসহ চারজনের বিচার চাই।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার মো. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, শনিবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকজন। এখন সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিচ্ছি। তার ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় রোববার দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা মামলার আসামিদের ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।