রোমানা ই’সলাম স্বর্ণা। মডেল-অ'ভিনেত্রী থেকে এখন প্র’তারক। নিজেকে কখনো মডেল, কখনো অ'ভিনেত্রী প’রিচয় দিতেন। খুলতেন ভিন্ন ভিন্ন ফেসবুক আইডি। আপলোড করতেন রগরগে সব ছবি। এরপর প্রবাসীদের টা’র্গেট করে ফ্রেন্ড বানিয়ে গড়ে তুলতেন প্রে;মের স’ম্পর্ক। এভাবে একে একে এ পর্যন্ত বিয়ে করেছেন ২৮ জনকে। হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৩০ কোটি টাকা। তবে তাদের কারো সাথেই স’ম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। বিয়ের নামে প্র’তারণার মাধ্যমে অর্থ হা’তিয়ে বিদায় দিয়েছেন সবাইকে।
এত দিন লোকল’জ্জার ভ’য়ে প্র’তারিতরা মুখ না খুললেও এবার মু’ক্তি মেলেনি এই মডেল কন্যার। প্রে;ম আর বিয়ে খেলায় এবার আ’ট'কা পড়েছেন আ’ইনের জা’লে। জানা গেছে বিয়ের নামে প্র’তারণা করা ছিল স্বর্ণার নে’শা। ১৫ সালের আগে তিনি প্রথম বিয়ে করেন। সে স্বামীর ঘরে একটি স’ন্তান জ’ন্ম নেয়ার পর তাকে তালাক দেন। এরপর ২০১৫ সালে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সে বিমান বালার চাকরিকালীন পরিচয় হয় খোরশেদ আলম টুটুল নামের এক ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায়ীর সাথে। এর পর সে বছরের জুন মাসে তিনি তাকে বিয়ে করেন।
টুটুল ঢাকার যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা। রাজধানীর শান্তিনগরের একটি কাজী অফিসে করা এ বিয়ের দেনমোহর ছিল পাঁচ লাখ টাকা। টুটুলের এটি প্রথম বিয়ে হলেও স্বর্ণার এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল।এরপর একই বছরে একটি বিলবোর্ডের মডেল হয়ে মিডিয়ায় আলোচনায় আসেন স্বর্ণা। মডেলিং অ'ভিনয়ে ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় এয়ার লাইন্সের চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। সময়ের ব্যবধানে মু’ক্তি পায় তার অ'ভিনীত একাধিক সিনেমা। এরই মধ্যে নানান প্র’লো'ভনে টুটুলের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পর স্বামী হিসেবে তাকে অ’স্বীকার করেন। পু’লিশ বলছে, একই কা’য়দায় অ’সংখ্য মানুষের সাথে প্র’তারণা করেছেন স্বর্ণা। মডেল প’রিচয়ে প্রথমে ফেসবুকে প্রে;ম করতেন প্রবাসীদের সাথে।
এদিকে অ'ভিনেত্রী ও মডেল রোমানা ই’সলাম স্বর্ণার সহযোগীদের খুঁ’জছে পু’লিশ। ইতোমধ্যেই তার দলের আরও ১০ থেকে ১২ জন ত’রুণীর প্রাথমিক ত’থ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে উঠতি বয়সের দুজন মডেলও আছেন।পু’লিশ ও ত’দন্ত সূত্রে জানা গেছে, গ্রে’প্তারের সময় স্বর্ণার কাছ থেকে দুটি মোবাইল জ’ব্দ করা হয়। মোবাইলে স্বর্ণার কললিস্ট যাচাই-বাছাই করা হয়। সেখানে কয়েকজন ত’রুণীর নাম পাওয়া গেছে। যারা লালমাটিয়া মোহাম্ম’দপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ছ’ড়িয়ে ছি’টিয়ে আছেন। পু’লিশ জানতে পেরেছে, লালমাটিয়ায় স্বর্ণার বাসা'সহ রাজধানীতে আরও এরকম একাধিক ফ্ল্যাট বা বাসা রয়েছে। যেখানে স্বর্ণার প্র’তারণার ফাঁ’দ রয়েছে। স্বর্ণা এবং তার সহযোগীরা ফেসবুক বা অন্য কোনো মাধ্যমে স’ন্ধান করে প্রবাসী এবং বিত্তবান পরিবারের স’ন্তানদের।
তাদের প্রে;মের ফাঁ’দে ফেলে অন্তর’ঙ্গ স’ম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে। এভাবে প্র’তারণার জালে ফেলে এই চক্রের সদস্যরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সূত্র জানায়, লালমাটিয়ায় স্বর্ণার ডি ব্লকের বাসায় মাঝে মধ্যেই ডিজে পার্টির আয়োজন করা হতো।যেখানে উঠতি বয়সের বিভিন্ন ত’রুণ-ত’রুণী এবং সমাজের বিত্তবানদের যাতায়াত ছিল। এছাড়া তারকা হোটেলে একই ধরনের আসর বসাতেন স্বর্ণা। জলসার মনোরঞ্জনের পুরো দায়িত্ব পালন করতেন স্বর্ণা নিজেই। কখনো স্বামীর সাথে ডি’ভোর্স আবার সংসারের আ’র্থিক সঙ্কটসহ নানা কারণ দেখিয়ে নিতেন টাকা। পরে করতেন বিয়েও। কৌশলে অন্তর’ঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা ছ’ড়িয়ে দেয়ার ভ’য় দেখিয়ে লিখে নিতেন জায়গা-জমিও। এভাবে একে একে বিয়ে করেছেন ২৮টি।
‘আ’পত্তিকর’ ছবি দেখিয়ে প্রত্যেক স্বামীর সাথেই একই কায়দায় প্র’তারণা করে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। পু’লিশ বলছে, এই প’রিবারের প্রতিটি সদস্যই বিপরীত লি’ঙ্গের সাথে একই প্রক্রিয়ার প্রে;ম ও বিয়ের স'ম্পর্কের অ'ভিনয় করে বিপুল অর্থ হা’তিয়ে নিয়েছে। প্রতিটি সদস্য প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবা’দে এ কাজে জ’ড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ঠিক একইভাবে কখনো ফ্ল্যাট কেনা আবার কখনো গাড়ি কেনার নাম করে রোমানা সৌদি প্রবাসী কাম'রুল ই’সলাম জুয়েলের কাছ থেকে এক বছরে বিভিন্ন সময়ে নেন আড়াই কোটি টাকা।
প্র’তারিত হওয়া প্রবাসী কাম'রুল ই’সলাম জুয়েল জানান, স্বর্ণা তার সাথে প্রথমে ভালো স'ম্পর্ক করে। এরপর লালমাটিয়ায় ফ্ল্যাট কেনার নাম করে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা নেয়। তিনি দেশে আসার পর তাকে বাসায় ডাকে। তিনি সেখানে গেলে তারা তাকে কিছুটা একটা খাইয়ে অ’চেতন করে ফেলে। এরপর খা’রাপ ছবি তুলে নেয় ও তার থেকে স্ট্যাম্পে সাইন নিয়ে নেয়। এভাবেই সে তাকে জো’র করে বিয়ে করে।এরপর বিয়ের জন্য দেশে এনে জুয়েলকে কিছুদিন নিজের বাসায় আ’ট'কে রাখেন রোমানা। এরপর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভ’য় দেখিয়ে রোমানা জো’র করে স্ট্যাম্পে জুয়েলের স্বাক্ষর রেখে জায়গা-জমি হাতিয়ে নেন। এরপর রোমানাও জুয়েলকে ডি’ভোর্স দেন।
এ প্রস’ঙ্গে ডিএমপির ডিসি হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, রোমানা, তার মা, তার ভাই ও ভাইয়ের বউ ও রোমানার ছে'লে তারা সবাই এই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তিনি বিদেশ থেকে আসার পর বাসায় নিয়ে উল’ঙ্গ করে তার ছবি তুলে তারা। এরপর টাকা দা’বি করে বসে। টাকা না দিলে সেই ছবি ফেসবুকে ছ’ড়িয়ে দেয়ার হু’মকি দেয়।